মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান,
অনলাইন ডেস্কঃ
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে গত শুক্রবার ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জ্যাকসন হাইটসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে আনন্দ মিছিল করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সেখানে অবস্থানরত যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিককে চায়ের আমন্ত্রণ জানান।
সেখানে টাইম টেলিভিশনের তরফে ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালিকের কাছে কী প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ড. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। উনি আমাকে একটা নির্দেশনা দিলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি মালিক সাহেব এখানে এসেছেন। উনি তাকে স্বাগত জানানোর জন্য আমাকে বলেছেন এবং তাকে চায়ের দাওয়াত ও আপ্যায়ন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
উনার নির্দেশ মোতাবেক আমি কিছুক্ষণ আগে তার সাথে দেখা করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমি সেই দাওয়াত তাকে পৌঁছে দিয়েছি। আমি বলেছি, আপনাকে আমি চা খাওয়াতে চাই। কারণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছেন।
আপনিও (এম এ মালিক) আমাদের অতিথি, মেহমান। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন। আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। এককাপ চা খাবেন। চা খাওয়ার দাওয়াত উনি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু উনি একটি আবদারও করেছেন।
এম এ মালিক সাহেব বলেছেন, আমার নেত্রী মুমূর্ষ অবস্থায়। আপনি কি পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা আবেদন করতে যে, আমার নেত্রীকে (বেগম খালেদা জিয়া) বিদেশে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা উনি করে দিতে পারেন কিনা।’
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘উনি বলেছেন যদি প্রধানমন্ত্রী রাজি হন তাহলে আমার সাথে এক জায়গায় বসে উনি (এম এ মালিক) চা খাবেন। এটাই উনার সাথে আলাপ হয়েছে। এখানে কোনো নাটকীয়তা নাই।’
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে এই প্রস্তাব আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী করবেন সেই বিষয়টি তিনি আমাকেও জানাতে পারেন অথবা উনি যার মাধ্যমে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন তাকেও জানাতে পারেন।’ এটার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। যুদ্ধাংদেহী ভাব আমি লক্ষ্য করিনি।’
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার কাছে এসেছিলেন।
শেখ হাসিনা উনাকে বলেছেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। উনি চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তবে আমরা বলেছি যে, আমাদের নেত্রী অসুস্থ। উনার সুস্থতার জন্য বিদেশে আসা দরকার। উনি যদি নেত্রীকে বিদেশে পাঠানোর ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা উনার সঙ্গে চা খেতে রাজি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেছেন, এই বার্তা উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিবেন এবং পরবর্তীতে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’