মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
সম্প্রতি ইস্ট লন্ডনের মাইক্রো-বিজনেস সেন্টারে বিশেষ একটি সেমিনারের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ ইউকে।
এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো “বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্থপতি”।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি, শিক্ষক ও গবেষক ডক্টর মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ।
এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইগ্রেন্ট ভয়েস ও সাবেক চীফ এক্সিকিউটিভ – জে সি ডব্লিউ আই এর চেয়ারম্যান হাবিব রহমান।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন ডা: মোস্তফা কামাল বকুল।
মুখ্য আলোচক ছিলেন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই সংগঠনটির ভূমিকা প্রদান করেন দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান মীরু।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ ইউকের সাধারণ সম্পাদক আযম খান ও যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান ।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রাকীব, লন্ডন বারা অফ টাওয়ার হ্যামসেটসের লীড মেম্বার (আর্টস অ্যান্ড কালচার) কাউন্সিলর ইকবাল হোসেইন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইউকের সহ-সভাপতি শাহ্ আজিজুর রহমান, বৃটিশ বাংলাদেশী টিচার্স এসোসিয়েসনের সভাপতি আবু হোসেইন, শিক্ষক এ কে এম ইয়াহিয়া ও শাহ্ ফারুক আহমেদ, একাউন্ট্যান্ট এ কে এম সেলিম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্যের সাবেক সভাপতি ও ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আনসার আহমদ উল্লাহ্ ও সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সমাজ হিতৈষী আয়ূব করম আলী, ডাক্তার ইমরুল কায়েস, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, মাইক্রোবিজনেস সেন্টারের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী রউফ এবং সমাজসেবক আঙ্গুর মিয়া ।
আলোচকগন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী ও কর্মময় জীবন এবং তার আদর্শের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
তাদের আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি জাতির জন্ম এবং একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষিত আর মুক্তিযুদ্ধের কথা সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রধান অতিথির ভাষণে হাবিব রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ছাত্রাবস্থায় যুক্তরাজ্যে মুখ্য সংগঠকদের একজন হিসেবে তাঁর ভূমিকা এবং সে সময় বিলেতের বাঙালীগন নিয়মিত তাদের সাপ্তাহিক তলফের (বেতন) মুক্তিযুদ্ধ সাহায্য তহবিলে স্বত:স্ফূর্তভাবে জমা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি ষাটের দশকে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে একাধিকবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসার এবং ১৯৭২ সনের জানুয়ারীতে লন্ডনে বহু বছর পর বঙ্গবন্ধু তাঁকে (হাবিব রহমান) নাম ধরে ডেকে বিস্মিত করার স্মৃতি রোমন্থন করেন। সভাপতির ভাষণে ডক্টর হান্নান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ এবং বাঙালী হিসেবে নিজেদের পরিচয়কে বহন এবং বর্তমান ও আগত দিনের প্রজন্মের মধ্যে তা সঠিকভাবে সঞ্চারিত করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডাক্তার আব্দুল মালেক, ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, বৃটিশ বাংলাদেশী টিচার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারী, বালাগঞ্জ-ওসমানী নগর এডুকেশন ট্রাস্টনাজমুল ইসলাম, বিশ্বনাথ এডুকেশন ট্রাস্ট চেয়ারম্যান মতছির খান, আই টি কন্সালট্যান্ট আব্দুল জলিল, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট কামরুল ইসলাম, এডভোকেট আহবাব হোসেন, এডভোকেট আব্দুল মোমিন, মোস্তফা কামাল মিলন, আব্দুস সাত্তার, শফিক আহমেদ, মকসুদ রহমান, নজরুল হক, আসাদুর রহমান, সেলিম আহমেদ, আতিক রহমান, মঞ্জুর ইসলাম, শাহ জয়নাল, মোবারক হোসেন ও মেহের শিকদার প্রমুখ ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।