অনলাইন ডেস্ক : পোলিওমুক্ত বিশ্ব গড়তে রোটারিয়ানদের অবদান সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশে পোলিও টিকা দানের মাধ্যমে সংগঠনটি স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অবদান রেখে আসছে। ফলশ্রুতিতে, বাংলাদেশ শতভাগ পোলিও মুক্ত হয়েছে।
২৪ অক্টোবর বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষ্যে ”পোলিও মুক্ত বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে “বিশ্বকে পোলিওমুক্ত করতে রোটারির অবদান” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রোটারি ডিস্ট্রিক ৩২৮১ এর গভর্নর মোঃ আশরাফুজ্জামান নান্নু।
সারাবিশ্বর মতো বাংলাদেশে “রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক ৩২৮১, বাংলাদেশ” এর পক্ষ থেকে রোটারি ক্লাব অফ ধানমন্ডি সেন্ট্রাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় গভর্নর মোঃ আশরাফুজ্জামান নান্নু আরও বলেন, মারাত্মক সংক্রামক রোগ পোলিও সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের আক্রান্ত করে। দূষিত পানির মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে রোগটি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুসালিন নোমানী বলেন, রোটারি সদস্যরা আর্ত মানবতার সেবায় সবার আগে এগিয়ে আসে। তেমনি পোলিওমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা এখন বাংলাদেশের বাইরেও ববহির্বিশ্বে বিশেষ করে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পোলিও টিকা ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডিস্ট্রিক পোলিওপ্লাস কমিটি চেয়ার ডিজিই (ডিত্তিক-৩২৮৩) ইব্রাহীম খলিল আল-জায়েদ পিনাক, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ইলেক্ট হাফিজ ইউ বিপ্লব, পিডিজি এস এ এম শওকত হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর নোমিনি মো. শাহিদুল বারী, প্রোগ্রাম চেয়ার রোটারিয়ান টিআইএম নুরুল কবির, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শফিউল আলম উজ্জ্বল, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি লায়লা আরজু মান রোজি, ডিস্ট্রিক্ট ফেলোশিপ চেয়ার আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রেশন চেয়ার মো. সাইদুল হক সাদী, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা কারওয়ান বাজার সভাপতি শাহানা আলম, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা ডাইনামিক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সুমন, পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান জাহিদুল ইসলাম রোমেল, রোটারিয়ান রফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।