রিয়াজ রহমান :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়নের ৮৭নং কালম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থান পরিবর্তনসহ নতুন ভবন নির্মানের অনুমতি পাওয়ায় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিবাকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
২০১৯ সালে ১৬ ডিসেম্বর কালম্বরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থান সংকুলান না হওয়ার কারনে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর ও নতুন ভবন নির্মানের জন্য আবেদন করেন। পরে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কালম্বপুর গ্রামের ওয়াছিদ খান ও ফাতেমা বেগম কর্তৃক দানকৃত ৬৫শতক ভূমিতে বিদ্যালয় স্থানান্তর ও নতুন ভবন নির্মানের সুপারিশ করে প্রতিবেদন প্রেরন করেন।
পরবতীর্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর দানকৃত ৬৫শতক ভূমিতে নতুন বহুতল ভবন নির্মানের সুপারিশ করেন। মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় নতুন দানকৃত ভূমিতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের অনুমতি পাওয়ায় কালম্বরপুর গ্রামে আনন্দের বন্যা বইছে। ভবন ও শিক্ষক সংকটে স্থবির সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়নের কালম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এই নিয়ে গনমাধ্যমে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ হয়।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানায়ায়, ১৯৫৬ সালে কালম্বরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১০শতক ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে একটি টিন সেড ভবনে ৪ টি কক্ষের মধ্যে ৩টি কক্ষে শিার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ১টি কক্ষকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবনের সংকটের বিষয়ে বার বার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপকে জানানোর পরও ভূমি সংকটের কারনে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছিলনা। স্কুলের এই সমস্যার কথা এক লন্ডন প্রবাসীকে জানানোর পর তিনি সেচ্ছায় তার মালিকানা ভূমি স্কুলের জন্য দান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
কালম্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মোঃ মহিবুর রহমানএর সহযোগিতায় উনার নিকট আত্মীয় হাজি মোঃওয়াছিদ খান ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম বিদ্যালয়ের জন্য ৬৫ শতক ভূমি দানপত্র করেদেন। বর্তমানে উক্ত ভূমিতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের সকল প্রকার প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী নতুন দানকৃত ভূমিতে দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজ সমাপ্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।