রিয়াজ রহমান, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে :
জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫ম শ্রেনী থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে উত্তীর্ন হয়েছে ৪ হাজার ২শত ৪৩ জন। সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী জগন্নাথপুর উপজেলার সকল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে ২হাজার ৩৫জন শিক্ষার্থীর। বাকী শিক্ষার্থীরা কোথায় ভর্তি হবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
এবছর ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশের আগেই ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলায় ৫ম শ্রেণী থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উর্ত্তীন হওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় আসন সংখ্যা তার অর্ধেক। ফলে দুশ্চিন্তায় মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন।
৬ষ্ঠ শ্রেণীতে প্রতিটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নতুন নিয়ম চালু করে সরকার। উপজেলায় ২টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ৩৭টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার প্রায় সব স্কুলে আসন সংখ্যার তুলনায় অনেক ভর্তির আবেদন এসেছে। উপজেলার দুইটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলে ও উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন জমার শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর। এ বার সকল বিদ্যালয় গুলোতে লটারীর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলছে।
উপজেলার দুইটি সরকারি উচচ বিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদনের পর লটারি মাধ্যমে বিজয়ীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পর ও শত শত অভিভাবকদের দুইটি বিদ্যালয় ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজের ছেলে মেয়েদের ভর্তির সুযোগের জন্য আবেদন করছেন।
শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, আমাদের ছেলে মেয়েরা জগন্নাথপুরের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের পর লটারীতে বিজয়ী না হওয়া অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে জমা দেই। বর্তমানে আমরা ছেলে মেয়েদের ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার অরূপ রায় জানান, সরকারী নিয়মের বাহিরে স্কুল গুলোতে ভর্তির আপাতত কোন সুযোগ নেই।