মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ডস টিমের নেতৃত্বে দুই দিনের অভিযানে ২৭,০০০ পাউন্ডের বেশি মূল্যের অবৈধ সিগারেট এবং ভ্যাপ জব্দ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিশেষ এই অপারেশন চলাকালীন, কাউন্সিল অফিসাররা টাওয়ার হ্যামলেটসের হোয়াইটচ্যাপেল এবং মাইল এন্ড এলাকায় ৩৫,৩০০টিরও বেশি অবৈধ সিগারেট এবং ১,২৩৫টি ভ্যাপ বাজেয়াপ্ত করেন।
একটি বিশেষজ্ঞ কোম্পানির দেওয়া তামাক সনাক্তকারী কুকুরের সহায়তা নিয়ে ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড অফিসাররা এই অভিযান চালান। খুব অসম্ভাব্য জায়গায় লুকিয়ে রাখা হলেও শনাক্তকারী কুকুর নগদ টাকা, তামাক এবং সিগারেট খুঁজে পেতে পারে।
সনাক্তকরণ এড়াতে একটি গোপন স্টোরেজ রুমে অবৈধ সিগারেট, তামাক এবং ভ্যাপ পাওয়া গেছে। সমস্ত পণ্য আরও পরীক্ষার জন্য জব্দ করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত এখন মুলতুবি রয়েছে।
জব্দ করা অবৈধ সিগারেট এবং তামাকজাত পণ্যগুলির মধ্যে সন্দেহভাজন জাল এবং সস্তা বিদেশী লেবেলযুক্ত চোরাচালান পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড আইন লঙ্ঘন করে এবং তাদের উপর শুল্ক প্রদান করা হয়নি। এগুলো যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে বিক্রি করা যাবে না।
জব্দকৃত সকল সিগারেটের বিষয়বস্তু ক্ষতিকারক এবং পরিচিত কার্সিনোজেন সহ প্রায় ৪,০০০ বিভিন্ন রাসায়নিক রয়েছে।
আইনি সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া বিপুল সংখ্যক ভ্যাপও জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা অনেক ভ্যাপ গুলোতে অতিরিক্ত নিকোটিন সামগ্রী ছিল এবং এগুলো বিধিবদ্ধ লেবেলিং ও তথ্যের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেনি।
কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী বলেছেন, “আমাদের ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড অফিসাররা বিশেষ এই অভিযানকালে সফলভাবে প্রায় ২৭,০০০ পাউন্ড মূল্যের অবৈধ সিগারেট এবং ভ্যাপ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন। যারা অবৈধ তামাক ব্যবসার সাথে জড়িত তারা এটি সস্তায় সরবরাহ করে অল্পবয়সী শিশু সহ লোকেদের ধূমপানে উৎসাহিত করতে পারে। এ ধরনের কার্যক্রম দমন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের আশেপাশে অপরাধ নিয়ে আসে, যে কারণে আমাদের ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড অফিসাররা এই অবৈধ বাণিজ্যকে ব্যাহত করতে সক্রিয়। এটি বৈধ ব্যবসার উপরও প্রভাব ফেলে।”