মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএসে যোগ দিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দেশ ত্যাগ করা ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগম তার নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলে হেরে গেছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আপিল আদালত রায় দিয়েছেন, সরকার ওই সময় শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে অবৈধ কোনো কিছু করেনি। তবে শামীমার আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তিনি শিশু পাচারের স্বীকার হয়েছিলেন এবং তার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে আইন বিরোধী কাজ করা হয়েছে।
শামীমা বেগম ২০১৫ সালে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। ওই সময় তিনি তার স্কুলের আরও দুই বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়েছিলেন। এরপর সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএসের এক যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তিনি। সিরিয়ার রাক্কাতে থাকতেন শামীমা।
২০১৯ সালে শামীমা বেগমকে সিরিয়ার আল-হল শরণার্থী ক্যাম্পে খুঁজে পাওয়া যায়। ওই সময় নিজের পুত্র সন্তানের জন্মের জন্য যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে দেশটির সরকারের প্রতি আবেদন করেছিলেন শামীমা। ওই সময় ‘আইএসআইএস বধূ’ হিসেবে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
পরবর্তীতে নিজের বেশ বদলে ফেলেন শামীমা। তিনি ইসলামিক পোশাকের বদলে পশ্চিমা পোশাক পরা শুরু করেন।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাবিদ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। এর পরের মাসে শামীমা জানান, তার সদ্যভূমিষ্ঠ ছেলে মারা গেছে।
তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানান, এই ছেলের আগে তার আরও দুটি সন্তান হয়েছিল এবং তারাও মারা গেছে।
যুক্তরাজ্যের আপিল আদালতে এরপর নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে আবেদন করেন শামীমা।
সূত্র: সিএনএন