সাজিদুর রহমান :
দুই সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া আইপিএলে দুই শ রান দেখা গেছে নিয়মিত। প্রতিপক্ষ দল সফলভাবে সেই রান তাড়াও করেছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু থেকেই রানখরা। অবশেষে শনিবার ১৭তম ম্যাচে দেখা মিললো দলীয় দুইশ রানের।
ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৭ উইকেটে ২০১ রান। যে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস আটকে গেছে ৬ উইকেটে ১৬৫-তে। ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে সুপার এইটের পথে একধাপ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে দলটির পয়েন্ট ৪। তিন পয়েন্ট নিয়ে এখন গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে স্কটল্যান্ড। আর ইংল্যান্ডের সম্বল অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের আগে স্কটিশদের সঙ্গে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাওয়া এক পয়েন্ট।
কেনসিংটন ওভালের ম্যাচটিতে ২০১ রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। ফিল সল্ট ও জস বাটলার উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভারে তুলে ফেলেন ৭৩ রান। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পা বোলিংয়ে আসতেই খেলার মোড় ঘুরতে শুরু করে। নিজের প্রথম বলেই ২৩ বলে ৩৭ রান করা সল্টকে বোল্ড করেন জাম্পা। পরের ওভারে ফেরান ২৮ বলে ৪২ রান করা বাটলারকে। দুই ওপেনারের বিদায়ে রানের গতি কমে আসে ইংল্যান্ডের। হারাতে থাকে উইকেটও। মাঝে মঈন আলী গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এক ওভারে তিন ছক্কা মেরে আশা জাগালেও এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন প্যাট কামিন্সের বলে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটাও ভালো ছিল। ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার মিলে ৫ ওভারের মধ্যেই তুলে ফেলেন ৭০ রান। ১৬ বলের ইনিংসে ৪ ছয় ২ চারে ৩৯ রান করেন ওয়ার্নার। হেড খেলেন ৩ ছক্কা ২ চারে ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। এ দুজনের সৌজন্যে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেটে ৭৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া, যা এবারের আসরে প্রথম ছয় ওভারে সর্বোচ্চ। দুই ওপেনারের রানের গতি বজায় থাকে মিচেল মার্শ ও ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিসের ব্যাটেও। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোনো ফিফটি ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া তোলে এবারের সর্বোচ্চ ২০১ রান, ছাড়িয়ে যায় কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৭ রানকে।