নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিক মডেলিং (সানেম) তাদের জরিপে বলেছিল দেশের ৩৭ শতাংশ পরিবার দিনে একবেলা না খেয়ে থাকে। এ ছাড়া দেশের ৯০ শতাংশ নিম্নআয়ে মানুষ তাদের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করেছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে নিম্নআয়ের ৭৪ শতাংশ মানুষকে ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। তাদের করা এই জরিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
তিনি বলেছেন, সানেমের মতো ও দেশের সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও গবেসণা প্রতিষ্ঠানগুলো নেতিবাচকতা দ্বারা আক্রান্ত। দেশে অনেক ভালো কাজ হলেও তারা কখনো সেগুলো তুলে ধরে না। তারা কেবল নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরে। তারা যাদের আর্থিক সকায়তায় গবেষণা করে, তাদের খুশি করার জন্য প্রতিবেদন তৈরি করে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ ২০২৩) একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা সংস্থাগুলোর জরিপের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সানেম ও সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, ৬ মাস আগের তুলনায় এখন মজুরি বাড়েনি বরং কিছুক্ষেত্রে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কিন্তু আপনাদের (বিবিএস) হিসাবে মজুরি প্রতি মাসে বাড়ছে এ বিষয়ে আপনাদের মন্তব্য কী এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, সানেমের গবেষণার অর্থ কোথা থেকে আসে? তারা তো সরকারি টাকায় গবেষণা করে না। তাদের টাকা আসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে। ওইসব আন্তর্জাতিক সংস্থা যেভাবে বলে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেইভাবে প্রতিবেদন করে। তারা যে দেশ বা সংস্থা থেকে অর্থায়ন পায় তাদের উদ্দেশ্যই হাসিল করে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, সিপিডি কি বলল, আমরা তো তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা বিশাল তথ্য ভান্ডার নিয়ে কাজ করি। যেটা করি সেটি বিশ্ব স্বীকৃত। এখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কি বলল, এডিবি কি বলল, সানেম কি বলল, সেটা তো কখনোই হিসেবে আসবে না।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এর আগে বলেছিলাম মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সেই ধারাবাহিকতায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়েছে। তবে আল্লাহ বাঁচিয়েছে ১০ শতাংশ হয়নি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।