সাজিদুর রহমান :
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করে তাদের সকল সম্পদ নিলামে বিক্রি করে দেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার মন্ত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন মন্তব্য করেন। আব্দুল মোমেন লিখেছেন, “দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না। বরং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে এবং তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেয়া দরকার এবং অবশ্যই তাকে তড়িৎবেগে চাকরিচ্যুত করতে হবে। বদলি শাস্তি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকরিজীবী সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার সরকারি চাকুরিটি। দুর্নীতি পরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।”
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর ক্যাডারের কর্মকর্তা ও প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে আজ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১-এ বদলি করা হয়েছে। এর আগে ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানের ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনাও বের হয়ে আসে। পরে তাকেও পদ থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।