আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি :
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাচার করে এমন একটি চক্রের বাংলাদেশিসহ ২৯ জন বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
ইমিগ্রেশন বিভাগ ২ ও ৩ এপ্রিল কুয়ালালামপুর এবং সেলাঙ্গরে একটি বিশেষ অভিযানে এসব বিদেশী হুন্ডি কারবারিদের গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশি লাইসেন্সবিহীন হুন্ডি ব্যবসা পরিচালনা কওে আসছে এমন ১০টি স্থানে অভিযান চালানো হয়।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল ২০২৩) পরিচাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, হুন্ডি কারবারিরা “কর্তৃপক্ষের দ্বারা সনাক্তকরণ এড়াতে এ চক্র রেস্তোরাঁ, মুদি দোকান, কসমেটিক আউটলেট এবং কিয়স্কে ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি করে এবং মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসীদের দেশে অর্থ প্রেরণে প্রলোব্দ করে।
ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া (বিএনএম) এর সহযোগিতায় বিভাগের বিশেষ অভিযান এবং গোয়েন্দা বিভাগের সমন্বয়ে আরোও তিনটি ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৯ জন বিদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা বিদেশে রেমিট্যান্স পরিচালনার মধ্যস্থতাকারীকে। এদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশী, ৫ জন ভারতের , ৮ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ এবং দুজন ইন্দোনেশিয়ান নারী।
অভিযানে ৩০০,৫২৭ রিঙ্গিত নগদ অর্থ পরিবর্তনকারী কার্যকলাপ, মোবাইল ফোন, রেকর্ড বই এবং বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মতো বিদেশী রেমিট্যান্সের নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
“জব্দকৃত নগদ পরিমাণের উপর ভিত্তি করে, এ সিন্ডিকেট বছরে ১০৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত রেমিট্যান্স পরিচালনা করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।
আটককৃতরা অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং, অ্যান্টি-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড প্রসিড অফ বেআইনি কার্যকলাপ আইন (অগখঅঞঋচটঅঅ) ২০০১-এর অধীনে অপরাধী।
এদের বিরুদ্ধে আরোও অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতাকৃতদের সিমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।