এস কে এম আশরাফুল হুদা :
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাহমিনা আহমদ বৃটেনে অসাধারণ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। গত ১২ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে তিনি বিশ্বখ্যাত কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রীতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন। ডিগ্রীর প্রতিটি একাডেমিক বর্ষে তার গড়ে মার্কস ছিল ফার্স্ট ক্লাসের উপরে। তাছাড়া প্রতি বর্ষে কয়েকটি সাবজেক্টে তিনি তার ডিপার্টমেন্টের মধ্যে অত্যন্ত উঁচু ও রেকর্ড পরিমাণ মার্কস পেয়েছেন।
তাহমিনা প্রথম বর্ষে ইকোনোমিকস ফর বিজনেস বিষয়ে মার্কস পেয়েছেন ৯০ শতাংশ। ফান্ডামেন্টালস ফর বিজনেস স্টাডিজ এন্ড স্কীলস মডিউলে পেয়েছেন যথাক্রমে ৯৮, ৮৬.৬ ও ৮১ শতাংশ এবং ক্যারেন্ট চ্যালেঞ্জ ইন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে গ্রোপ প্রেজেন্টেশনে পেয়েছেন ৮০ শতাংশ। দ্বিতীয় বর্ষে বিজনেস ল’তে পেয়েছেন ৮৪.৯ শতাংশ এবং অপারেশন্স ম্যানেজমেন্টে পেয়েছেন ৮১ শতাংশ। তৃতীয় ও শেষ বর্ষে ম্যানেজিং ডাইভার্সিটি বিষয়ে মার্কস পেয়েছেন ৭৯ শতাংশ, স্ট্র্যাটিজিক এনালাইসিস এন্ড প্র্যাকটিস সাবজেক্টে পেয়েছেন ৮৩ শতাংশ ও এমপ্লয়মেন্ট রিলেসন্সে পেয়েছেন ৯০ শতাংশ।
লন্ডনে জন্ম নেয়া তাহমিনা আহমদের পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহাড়া দুবাগ গ্রামে। তিনি বৃটেনের প্রতিথযশা আইনজীবী, স্বনামধন্য লেখক ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের টানা তিন টার্মের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ও কবি মিসেস সালমা আহমদের তৃতীয় সন্তান।
ছোটবেলা থেকে প্রখর মেধাবী, প্রচণ্ড পরিশ্রমী ও প্রত্যুতপন্নমতি ছাত্রী ছিলেন তাহমিনা আহমদ। মেধাবী পরিবারে জন্ম নেয়া তাহমিনার বড় বোন তাসনিয়া আহমদ ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টর থেকে কৃতিত্বের সাথে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রী লাভ করার পর রোহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটি থেকে পিজিসিই কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে একটি সেকেন্ডারি স্কুলে কোয়ালিফাইড শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন।
তার মেঝো বোন ফারহানা আহমদ লন্ডন ইউনিভার্সিটির সিটি ল’ স্কুল থেকে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রীতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ার পর একই ল’ স্কুল থেকে এলএলএম ডিগ্রী ও বার-এট-ল কৃতিত্বের সাথে পাশ করে বিশ্বখ্যাত অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার হোন।
এই অসাধারণ সাফল্য লাভের প্রাক্কালে এক প্রতিক্রিয়ায় তাহমিনা আহমদ বলেন, “প্রথমেই শুকরিয়া জানাচ্ছি মহান আল্লাহপাকের প্রতি। এরপর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার শ্রদ্ধেয় পিতামাতা ও শিক্ষকমন্ডলী ও বড় বোনদের প্রতি যাদের সাপোর্ট, সহায়তা ও গাইডেন্স আমাকে এই ফলাফল আনতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি আলোকিত সমাজ ও কমিউনিটি বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই।”