নিউজ ডেস্ক, জগন্নাথপুর টাইমস:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন চলছে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সারাদেশ। বেড়েই চলছে নিহতের সংখ্যা। অনেকের তথ্য মতে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়াবে ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে , আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার (৪ আগস্ট) অনেক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরেই ১৩ পুলিশ ও ৩ শিক্ষার্থী, একই জেলার রায়পুরে ৬জন, ঢাকায় ৪ জন, নরসিংদীর মাধবদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৭ জন, রংপুরে ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় ১ জন, জয়পুরহাটে ১ জন ও বরিশালে ১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি, সোমবার থেকে তিনদিনের সাধারণ ছুটি:
চলমান অবস্থায় সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিনদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। রোববার নির্বাহী আদেশে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ অপু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। প্রথমে ওই দিন রাত ১২টা থেকে কারফিউ চলে। পরে এলাকাভেদে আলাদাভাবে বিরতি (শিথিল) দিয়ে কারফিউ চলে আসছে।
গতকাল সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। প্রতীকী ছবি