মুহাম্মদ সালেহ আহমদ,
অনলাইন ডেস্ক :
একাধারে প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হঠাৎ করেই ক্ষমতা হারিয়ে দিশেহারা। একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করে আসা দলটি ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এই অবস্থায় গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের বাড়িঘরে চলছে নজিরবিহীন হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ।এককথায় সারাদেশে চলছে অরাজকতা।
এই অবস্থায় কোথাও নেই প্রতিবাদ। এত বিশাল দলের কোনো নেতাকর্মী প্রকাশ্যে এসে এসবের নিন্দা করছেন না। এমনকি নিজেদের পরিচয় লুকাতে তৎপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে শেখ হাসিনাকে হতাশ করেননি নিজ জেলা গোপালগঞ্জের নেতাকর্মীরা। দলের এই বিপর্যয় মুহূর্তে সবার আগে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তারা। শপথ নিয়েছেন যেকোনো মূল্যে নেত্রীকে দেশে ফেরাবেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে দাঁড়িয়ে শপথ নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে পাল্টা আন্দোলনের বার্তাও দিয়েছেন তারা। আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে দেশে ফেরানোর কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিরেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবুদ্দিন আজম-সহ অনেকে। সভাাপতি মাহবুব সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করা। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে, তা রুখে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেন তারা।
মাহবুব আলী বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে ফিরিয়ে আনব। তার অনুপস্থিতিতে জামায়াত এবং বিএনপি দেশজুড়ে যে অরাজকতা তৈরি করেছে, আমরা তা বন্ধ করব।’
শেখ হাসিনাকে দেশে না ফেরাতে পারলে তারাও ঘরে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা যত দিন না আমাদের নেত্রীকে দেশে ফেরাতে পারছি, তত দিন আমরাও ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শেখ হাসিনাকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবই।