গত ৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রি, সোমবার, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে নানা গুঞ্জন, আইনি জটিলতা, আর আলোচনা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি এমনি পরিস্থিতিতে ব্রিটেনে শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে শেখ হাসিনার ব্রিটেনে আশ্রয়সংক্রান্ত রুপা হকের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে রুপা হক জানান, আমার সরকারের শেখ হাসিনাকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না। তিনি লিখেন বাংলাদেশের নৈরাজ্যময় অবস্থা নিয়ে জর্জ হ্যারিসন গান গেয়েছেন। গত সপ্তাহে আবার তিনি সঠিক প্রমাণিত হয়েছেন। রুপা হক লেখেন, বাংলাদেশে সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো একই ঘটনার প্রতিফলন দেখা গেল। যেখানে জাতির পিতার ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এ সহিংসতা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট পর্যন্ত পৌঁছেছে।
রুপা হক ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে লিখেন, শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় একটি অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার পিতার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করেছেন)।
তিনি লিখেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার নিরিখে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন কাউকে আশ্রয় দেওয়া বুদ্ধিমানের হবে না, কেননা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচারের দাবি রয়েছে। বরং অনেক বাংলাদেশি তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে মনে করেন।
এরপর রুপা হক লিখেন, বর্তমানে আমার বাংলাদেশি ভাইবোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই আর নিপীড়নের ভয়ের সংস্কৃতি নেই। আশা করি সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে।