♦ রিয়াজ রহমানঃ
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীনগর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি অবৈধ মদের দোকান। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মদের দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার দক্ষিন ভাড়াউড়া গ্রামের মৃত নিরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে মিলন বিশ্বাস দীর্ঘ দিন যাবত রানীনগর এলাকায় একটি ঘর নির্মান করে রাণীগঞ্জ বাজারের মদের একটি লাইসেন্স ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে মদের রমরমা বাণিজ্য করে যাচ্ছে।
১৪ অক্টোবর রানীনগর এই মদের দোকানে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৭৪৮ লিটার মদ সহ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার দক্ষিন ভাড়াউড়া গ্রামের মৃত নিরঞ্জন বিশ্বাসের দুই ছেলে নির্মল বিশ্বাস ও মিলন বিশ্বাসকে আটক করে জগন্নাথপুর সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেনা ক্যাম্প থেকে থানায় হস্তান্তর করেন।
জগন্নাথপুর থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করলে জামিনে আসে তারা।সেনাবাহিনীর অভিযানের পর মদের দোকানটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর ) মিলন বিশ্বাস মদের চালান নিয়ে আবারও রানীনগর মদের দোকানে মজুদ করতে গেলে এলাকীবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
উত্তেজিত জনতা অবৈধ মদের দোকান ভেঙে দোকানে মজুদ থাকা সকল মদ কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দেয়। পরে এলাকাবাসী রাণীনগর মসজিদের সামনে জোড় হয়ে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রানীগঞ্জ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
এই সময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম নিজামী,তকদির মিয়া, মজনু মিয়া, আবুল হোসেন, শফিক মিয়া, মখলিছ মিয়া, মজমিল মিয়া, পরাছ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, ডা. সুষেন, জয়চান, নুরুল আমিন, কাবিল, শচিন্দ দাস, যুগল বিশ্বাস, নিপেন্দ্র, আব্দাল মিয়া, সাইদুল আমিন, জামশেদ মিয়া, মিজানুর রহমান, আশরাফুল আলম, জাকির মিয়া, গোবিন্দ বিশ্বাস, শ্যামল রবি দাশ, ইরু বিশ্বাস, দিরু বিশ্বাস, বিমল চন্দ্র দাস, অরুন বিশ্বাস, দিবাংশু চন্দ, রনি দাশ, ছইল উদ্দিন, দিলোয়ার হোসেন, আলী হোসেন, আবেদ আলী, জমিদার মিয়া, নজির মিয়া, নিরঞ্জন বিশ্বাস, সাইফুর রহমান, সাদিকুর রহমান, নোমান মিয়া, আরিফুল ইসলাম ও শামসুল হক প্রমূখ।