মির্জা আবুল কাশেম,
অনলাইন ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরাল বা প্রবালের দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি জানিয়েছে, প্রবালটির আকৃতি একটি নীল তিমির চেয়েও বড় এবং এটি এতই বিশাল যে মহাকাশ থেকেও একে দেখা যায়। কিন্তু এতদিন এটি একপ্রকার অদৃশ্যই ছিল।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি বৃহস্পতিবার জানায়, মেগা কোরালটির দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার (১০৫ ফুট)। প্রস্থে এটি ৩৪ মিটার (১১১ ফুট)। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস এর বয়স প্রায় ৩০০ বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আগের রেকর্ডধারী প্রবাল থেকে তিনগুণ বড়।
প্রবালটি মূলত বাদামি রঙের। তবে এতে উজ্জ্বল হলুদ, নীল ও লাল রঙের ফোঁটা রয়েছে। প্রবালটির উপরের পৃষ্ঠ যেন ঢেউয়ের লহরের মতো আলতো ভাঁজে আচ্ছাদিত, যেন সমুদ্রপৃষ্ঠেরই অনুরূপ। বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া প্রবালটির পরিধি ১৮৩ মিটার (৬০০ ফুট)। অসংখ্য কোরাল পলিপের নেটওয়ার্কে এটি গঠিত। পলিপ হলো ক্ষুদ্র স্বতন্ত্র প্রাণী।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকসের প্রিস্টিন সিস দলের সদস্যরা বিশাল প্রবালটি আবিষ্কার করেন। অক্টোবরে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বিজ্ঞানীদের দলটি জাহাজে করে গবেষণার কাজ করছিল।সাধারণ প্রবাল প্রাচীরের মতো একাধিক প্রবাল গোষ্ঠী বা উপনিবেশ নিয়ে এটি গঠিত নয়। বরং এটি একটি একক ও স্বাধীন প্রবাল যা বছরের পর বছর ধরে একইভাবে অক্ষত রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় অনেক প্রবালের জীবন শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফও। গবেষকরা বিশাল এ প্রবালটিকে আশা ও উদ্দীপনার প্রতীক হিসেবে দেখছেন। প্রবালের এ প্রজাতির নাম প্যাভোনা ক্ল্যাভাস। এটি চিংড়ি ও কাঁকড়া থেকে মাছ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির আবাস, আশ্রয় ও প্রজননস্থল হিসেবে কাজ করে। ছবি বিবিসির।