ঢাকা :
বাংলাদেশ থেকে এই বছর হজের জন্য সরকারি প্যাকেজে সর্বনিম্ন ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ও বেসরকারি প্যাকেজ ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এবার প্যাকেজের মূল্য বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। অনেকেই এটাকে অস্বাভাবিক মনে করছেন।
হজ প্যাকেজের খরচ মাত্রাতিরিক্ত বাড়ানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । খরচ আরো কমানের দাবিও উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে।
তারা লিখেছেন পার্শবতী দেশ গুলোতে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক হজ্জে যাচ্ছেন কিন্তু বাংলাদেশ এত চড়া দাম। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু দৃষ্টি কামনা করেছেন মুসল্লির।
এদিকে চার দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় হজের খরচ কিছুটা কমানো হয়েছে। ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ২৭ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বুধবার থেকেই এ নিবন্ধন চলবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপ সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন জানিয়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য সব দেশের জন্য সৌদি আরব মিনায় ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরির তাবুর খরচ বাবদ ৪১৩ সৌদি রিয়াল কমিয়েছে।
বাংলাদেশি টাকায় যা ১১ হাজার ২৭৫ টাকা। যারা ইতোমধ্যে পুরাতন ফি অনুযায়ী নিবন্ধন করেছেন তাদের পরবর্তীতে খাবারের টাকার সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, প্যাকেজ মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এবং হজযাত্রীদের বয়সসীমা না থাকায় পরিবর্তিত প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
উল্লেখ্য, হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় চার দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি।
৯ শতাংশ আসন খালি রেখেই গতকাল নিবন্ধনের চতুর্থ দফা নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে।