নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :
কোরবানি ঈদের আগেই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। পাঁচ সিটি করপোরেশন হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল।
২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে ভোটের সহিংসতা নির্মূল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব পাস হলে কোনো সাংবাদিকের জিনিসপত্র যদি কেউ কেড়ে নেয় সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানান এই কমিশনার।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব পাস হলে যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবে, প্রত্যেকের জন্য ‘খুব ভালো’ একটি কাজ হবে বলে মনে করেন এই কমিশনার।
ফল গেজেট আকারে প্রকাশের পর ভোট বাতিলের ক্ষমতা দেয়াসহ বেশ কিছু বিধান আনতে আরপিও সংশোধনে ইসির প্রস্তাবটি আগামী ২৮ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উঠবে জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদে পাস হলে সংসদে যাবে। সংসদ যেভাবে পাস করে দেবে, সংযোজন হলেও হতে পারে, জানি না।
সংশোধনী প্রস্তাব পাস হলে ‘যুগান্তকারী’ আইন হবে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, প্রার্থী, সমর্থক সবার আচরণগত পরিবর্তন হবে। এক বছরের মতো হলো আইনটা (সরকারের কাছে) পাঠানো হয়েছে। যে অপরাধগুলোকে অপরাধ হিসেবে ছিল না, আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধানের সুপারিশ করেছি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ২৩ মে থেকে জুনের মধ্যেই পাঁচ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ কোরবানির আগেই সব সিটি নির্বাচন শেষ করা হবে। তবে কোনটা কবে হবে সেটা তফসিলে ঠিক হবে।
তিনি বলেন, কাউকে ভোটের মাঠে আনা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করতে পারি। কিন্তু ভোটে আসার বিষয়টি তাদের ব্যাপার।
সাংবাদিকদের জিনিসপত্র (ইকুইপমেন্ট) কেড়ে নেয়া অপরাধের আওতায় আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংগত কারণেই যারা এ কাজ করবে আইনটা হলে, একটু হলেও মনের মধ্যে খটকা লাগবে, যে আমি এই কাজ করছি, আমাকেও তো আইনের আওতায় আনা হবে। দশজনের না হোক দুজনের হলেও তো হলো। এতে যদি ক্ষান্ত হয়, এটাও তো বড় অর্জন মনে করি।
খসড়ায় ভোটারদের বাধা দেয়ার বিষয়টি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারপর আরও অনেকগুলো, কী কী সব আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ফলে যদি ম্যালপ্র্যাকটিস নজরে আসে, সেখানে কিন্তু কমিশন বন্ধ (নির্বাচন) করার ক্ষমতা যেন থাকে সে বিষয়টাও কিন্তু আছে। এগুলো আসলে নির্বাচনে একটা ছাপ ফেলবে।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, সংলাপ কাজের সুবিধার জন্য হয়। এটি করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এটুকু বলতে পারি, প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আবার আমরা বসব।