নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২০২৪-২৭ মেয়াদে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এর মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে জাপানের সমর্থন চেয়েছেন।
১৪ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ৩০তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) ফাঁকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় তিনি এই আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই, ২০২৩) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকে উভয় মন্ত্রী গত ২৫-২৮ এপ্রিল জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফর এবং তার ফলাফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা ‘বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’ বা বিআইজি-বি উদ্যোগ, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক, জলবায় পরিবর্তন, জ্বালানি, কৃষি, নীল অর্থনীতি, ওষুধ, সংযোগ এবং সমসাময়িক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। ড. মোমেন মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের বেশি নাগরিকের বাংলাদেশ থেকে আশু, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে জাপানের আরও সমন্বিত এবং ফলপ্রসু সমর্থনের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিসি উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা সম্প্রসারন এবং ছাড় দেয়ার জন্য দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং সেইসাথে চলমান আলোচনা, বিশেষ করে ডব্লিউটিও’র অধীনে চলমান আলোচনায় ছাড় প্রশ্নে বহুপাক্ষিক পর্যায়েও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিতে জাপানকে অনুরোধ করেন।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসাকে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২৬ জুন ২০২৩ থেকে কার্যকর হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন শিপ রিসাইক্লিং অনুসমর্থন করেছে, যা উন্নত ব্যবস্থাপনা অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ এবং টেকসই জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতিরই অংশবিশেষ। এটি ২০২৩ সালের এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের একটি প্রত্যক্ষ ফসল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ ও ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ) উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, জাপানকে জাইকার অর্থায়নে অথবা জাহাজ নির্মাণ ও রিসাইক্লিং খাতে দক্ষতা অর্জনকারী বেসরকারি জাপানী কোম্পানিগুলির দ্বারা এই ধরনের সুবিধা বিকাশে সহায়তার জন্য জাপানের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ এইচকেসি-২০০৯ মেনে বাংলাদেশের পক্ষে এটা করা দুরূহ।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার পাশাপাশি আগামী দিনে আরও সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার পথ অন্বেষণ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।