এস কে এম আশরাফুল হুদা :
রমজান মিয়ার জার্নি । একজন তরুণ মেধাবী ব্রিটিশ বাঙালি অভিনেতা রমজান মিয়া । তিনি বার্বির মতো আলোচিত ছবিতে ব্রিটিশ বাঙালি, বাংলাদেশের একজন মেধাবী অভিনয় করেছেন– এটি নিঃসন্দেহে গর্বের। ২০১৮ সালে ভৌতিক চলচিত্র গোস্ট স্টোরিজ দিয়ে শুরু রমজান মিয়ার হলিউড যাত্রা । ২০১৯ সালে কাজ করেন রকেট মেন ও আলাদিন। ২০২১ সালে এভরিবডিস টকিং এবাউট জেমিতে অভিনয় করেন তিনি।
২০২২ সালে হ্যালো ম্যাগাজিন রাইজিঙ ষ্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন এবং একই বছর ব্রিটিশ বাংলাদেশী ফ্যাশন এন্ড লাইফ স্টাইল অ্যাওয়ার্ড বর্ষ সেরা পুরুষ মডেল নির্বাচিত হন তিনি।
সিনেমা ‘বার্বি’ কথা : ২১ জুলাই মুক্তি পায় হলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘বার্বি’। এতে দক্ষিণ এশিয়ান কেইন চরিত্রে অভিনয় করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের মডেল ও অভিনেতা রমজান মিয়া। পোশাক এবং মনে গোলাপি রঙের ছটা, আনন্দের পারদও আকাশচুম্বী! ২১ জুলাই বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে মুক্তি পায় ‘বার্বি’। সিনেমায় দক্ষিণ এশিয়ান কেইন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের মডেল ও অভিনেতা রমজান মিয়া। সিনেমার মূল দুটি চরিত্র ‘বার্বি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মার্গট রবি ও ‘কেইন’ চরিত্রে রায়ান গসলিং।
হলিউডযাত্রা : ২০১৮ সালে ভৌতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গোস্ট স্টোরিজ’ দিয়ে শুরু রমজান মিয়ার হলিউডযাত্রা। অ্যান্ডি নাইম্যান ও জেরেমি ডায়সন নির্মিত ওই চলচ্চিত্রে এসথার গুডম্যান নামে এক নারীর প্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন রমজান। এরপর ২০১৯ সালে ‘রকেটম্যান’ ও ‘আলাদিন’, ২০২১ সালে ‘এভরিবডিস টকিং অ্যাবাউট জেমি’র পর একে একে ‘এনোলা হোমস টু’, ‘লিগ্যাসি’, ‘নাকা’সহ হলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিতি পান এ অভিনেতা। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রমজান মিয়া ২০২২ সালে ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফ্যাশন অ্যান্ড লাইফস্টাইল অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা পুরুষ মডেল নির্বাচিত হন এবং একই বছর ‘হ্যালো’ ম্যাগাজিন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
জন্ম, বেড়ে ওঠা ও শিক্ষা : রমজানের বাবা কুদ্দুস মিয়ার বাড়ি সিলেটে। একসময় তিনি জীবনের তাগিদে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। লুটন শহরে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন । ১৯৯৩ সালের ১৯ জুলাই রমজানের জন্ম যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরে। এ শহরেই তিনি বেড়ে ওঠেন। যুক্তরাজ্যের বার্ড কলেজ থেকে সংগীত ও নৃত্যে পড়াশোনা শেষ করে মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন রমজান।
৭ বছর বয়সে ক্যামেরার মুখোমুখি : হলিউড ছবিতে নিয়মিত কাজ করলেও অভিনয়ে রমজানের হাতেখড়ি বাংলা নাটকে! তাও সেই সাত বছর বয়সে। রমজান সাত বছর বয়সে প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি হন সিলেটি ভাষায় নির্মিত ‘তবুও ভালো আছি’ শিরোনামের নাটকে। নাটকটি নির্মাণ করেছিলেন রমজানের বাবা কুদ্দুস মিয়া। প্রবাস জীবনের সুখ-দুঃখের কথা নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি। তাতে শিশুশিল্পীর চরিত্রে দেখা মেলে রমজান মিয়ার।
মনোযোগ পড়াশোনায় : অভিনয়ের পাগলামিটা যখন ঘর থেকেই আসে কিংবা যদি বলা হয় রক্তেই মিশে থাকে, তবে কি সহজে তা ছাড়া যায়? অবশ্য ছাড়তে না পারলেও বিরতি দেওয়া যায়। রমজান মিয়াও দিয়েছেন। সেটি ১৫ বছর বয়সে। সব ধরনের অভিনয় থেকে পুরোপুরি বিরতি নিয়ে মনোযোগ দেন পড়াশোনায়; একেবারে বাধ্য ছেলের মতো। পাঁচ বছর পড়াশোনায় ডুবে থাকার পর কুড়ি বছর বয়সে ফের পা রাখেন শোবিজ জগতে। এবার মডেলিং দিয়ে শুরু। সেই সঙ্গে অভিনয়ও।
নিজের কাজ ও আগামীর স্বপ্ন সম্পর্কে রমজান মিয়া বলেন, ‘হলিউডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।