এসকেএম আশরাফুল হুদা :
বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন লন্ডনের বাংলা মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক, লেখক ও বিভিন্ন পেশার মানুষদের সাথে।
গত মঙ্গলবার বিকেল লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘ইনভেস্ট ইন ইউর রুটস’ নামের একটি সংগঠনের সৌজন্যে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
কবি ও ছড়াকার দিলু নাসেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই দেশের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান এবং সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে এবং দেশের মানুষকে যা দিয়েছে আর কেউ তা দিতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। নিম্ন আয়ের অবস্থান থেকে দেশ আজ মধ্য আয়ের এবং দেশের সর্বত্র ডিজিটাল হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যাতে ঘরে বসে জমি সক্রান্ত কাজ সম্পাদন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারাবিশ্ব প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছে। বিশ্বনেত্রী বলে সবাই তাকে মেনে নিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো তুলনা নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, এটা ঠিক ঔপনিবেশিক আইনের কারণে গরিব মানুষ যা পাওয়ার তা পাচ্ছে না। তারপরও যেটুকু পাচ্ছে শেখ হাসিনার জন্য পাচ্ছে। শেখ হাসিনা তাদের দিচ্ছে। আর কেউ এর চেয়ে বেশি তাদের দেবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিএনপি-জামায়াত-মৌলবাদীরা ক্ষমতায় আসবে। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে। দেশ থেকে টাকা পাচার হবে। দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে যাবে। বর্তমানে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ নেই। এরপর তিনি মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কটাক্ষ করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে, সেভাবেই হবে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে’। সে সময় আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে, সেভাবেই হবে বলতে আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে’? তিনি এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।