নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাইনুল হাসান সোহেল।
শনিবার (৩০ নভেম্বর ২০২৪) সকাল ৯টায় ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ২০২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৬টার পর জানা যায় নির্বাচনের ফলাফল।
নির্বাচনে ২১ পদের মধ্যে চার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ১৭ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩১ জন।
এর মধ্যে সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী নির্বাচন করেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৪৪ জন।
৮০১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু সালেহ আকন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৯৬ ভোট পান সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
সহসভাপতি পদে ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন গাযী আনোয়ার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমান গনি বাবুল পান ৫৯৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মাইনুল হাসান সোহেল।
এই পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬৪ ভোট পান শাহনাজ শারমীন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৮৯ ভোট পান আব্দুল্লাহ আল কাফি।
৭২৩ ভোট পেয়ে যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন নাদিয়া শারমিন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর ইকবাল পান ৬৪৪ ভোট।
৫৫০ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল হাই তুহিন। এই পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২৬ ভোট পান এম এম জসিম।
৬৮৩ ভোট পেয়ে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন রফিক রাফি। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী কিরন শেখ পান ৬৫৬ ভোট।
৯০৭ ভোট পেয়ে নারী সম্পাদক নির্বাচিত হন রোজিনা রোজী। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ফারহানা হক নীলা পান ৪০১ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মিজান চৌধুরী। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মহসিন হোসেন পান ৫৩৬ ভোট।
তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মো. শরীফুল ইসলাম। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার হোসেন মহিন পান ৫৮৪ ভোট।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মজিবুর রহমান ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদা লিসা পান ৫২৫ ভোট।
অর্থ সম্পাদক পদে সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) ও কল্যাণ সম্পাদক পদে রফিক মৃধা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
কার্যনির্বাহী সাতটি পদে ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বী বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। কিন্তু সদস্যদের ক্রমধারা নির্ধারণের জন্য ভোট হয়। সেই হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন যথাক্রমে- মো. জুনায়েদ হোসাইন শিশির (৯২৭), আকতারুজ্জামান (৮৩৪), মো. বোরহান উদ্দীন (৭৬৬), আমিনুল হক ভূঁইয়া (৭০৯), মো. ফারুক আলম (৬৩৬), সুমন চৌধুরী (৫০৬) ও মো. সমিল উল্ল্যা (৪০৬)।