এস কে এম আশরাফুল হুদা ::
রোজা সম্পর্কে প্রসঙ্গে মহাল আল্লাহ বলেন- ‘হে ঈমাদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) অর্জন করতে পারো’ (সূরা : বাকারা-১৮৩)।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য অনেক ধরনের ইবাদত করি। যেমন- নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাদি। আল্লাহর হক আদায়ের আগে প্রত্যেক মানুষকে অন্তর থেকে যা বিশ্বাস করতে হবে তা হলো- আল্লাহ আছেন, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরিক নেই, তিনি সবকিছুর স্রষ্টা। তাঁর আদেশেই পৃথিবীর সবকিছু আবার ধ্বংস হবে। আমাদের জীবন-মৃত্যু সবই তাঁর হাতে।
আমরা তাঁরই ইবাদতকারী।
পবিত্র রমজান বেশী বেশী করে ইবাদত করার মাস। আমার যেন জীবনে চলার পথে সব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি । এই রোজা মাসের তাৎপর্য যেন আমরা উপলব্দি করি এবং উপলব্দি করতে সাহায্য করি।
আমরা আমাদের পিতামাতা ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সবার একজনের দুঃখে অন্যজন সাড়া দিই। আপদে বিপদে একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করি।
মানুষের প্রতি মানুষের হক বা অধিকারকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় যেমন (১) নিকটাত্মীয়ের হক, (২) দূরাত্মীয়ের হক, (৩) প্রতিবেশীর হক, (৪) দেশবাসীর হক, (৫) শাসক-শাসিতের হক, (৬) সাধারণ মানুষের হক, (৭) অভাবী লোকের হক এবং (৮) অমুসলিমদের হক। প্রতিটি মুসলমানের আল্লাহর হক পালন করার সাথে সাথে মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সচেষ্ট হতে হবে।
ইসলামী শরিয়াতের পরিভাষায় সাওম হলো- সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সাথে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা। প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নারী-পুরুষের ওপর রমজান মাসের এক মাস সাওম বা রোজা পালন করা ফরজ।