জুবেল আহমদ সেকেল, ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি:
বিএনপির চেয়াররপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালদে জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, সাংবাদিকরা সৎ ও নিরপেক্ষ থেকে লিখনির মাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে।
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকতে তৎক্ষালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে পত্রিকায় ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করতেন। নানা উপ্প্ চার চালাতেন কিন্তু সেসময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো নেননি। সাংবাদিকদের ডেকে এনে হেনস্তাও করেননি। বিএনপির শাসন আমলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা স্বাধীন ছিলেন।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাংবাদিকরা স্বাধীন ছিলেন না। চাইলেও কেউ সত্য লিখতে পারেননি। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী অসত্য সংবাদ প্রচার করা হতো। অনেক সংবাদ মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় সাংবাদিক সাগর রুনি দম্পতিকে হত্যা করা হলো আজ পর্যন্ত তাদের পরিবার বিচার পায়নি। শতাধিকবার মামলার চার্জশীটের প্রতিবেদনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
আমরা প্রত্যাশা করছি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক, মিথ্যার যে প্রচারনা ছিল, সেটা থেকে যেন আমরা অব্যাহতি পাই। যখন এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন তখন সাংবাদিকরা অনেক প্রতিকুল অবস্থায় থেকে সাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে সাপোর্ট করেছিলেন। যখন আমাদের বাড়ী-ঘরে হামলা করা হয়েছিল, তখন আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের সাপোর্ট পাইনি। এই সময়ে আমরা মামলা করতে পারিনি। এই দু:সময়ে আমাদেরকে সাংবাদিকরা অনেক সহযোগিতা করেছিল। আমরা আশা করছি আগামীতে একটি সুষ্ট নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে এই এলাকার জনগণ সিলেট-২(ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনে একজন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।
বিএনপি অন্যায়ের পক্ষে নয়, যারা অন্যায় করবে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিব। আমরা কখনো অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে কারো জন্য সুপারিশ করব না। এত দিন পর আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, যাতে সবাই সঠিক কথা বলতে পারেন। আমরা কখনো কোনো চাপ প্রয়োগ করব না।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা।
এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিছবাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ, আব্দুল জমির, গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহিন মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদ, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, সিলেট জেলা যুবদলের ও উপজেলা যুব দলের আহ্বায়ক ফজল আহমদ জনি, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মন্নান বক্স, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রকিব আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মন্নান বক্স.সাধারণ সম্পাদক সুহেল আহমেদ.যুগ্ম সম্পাদক লুকমান আহমেদ.যুবদলের সভাপতি শামিম আহমেদ সাহিন.সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ.যুবদল নেতা আমির আলী.ওয়েছ আহমেদ. গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুয়েল আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাহিদ মিয়া, ফয়জুল হক।
পরে তিনি গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করে এবং স্থানীয় গোয়ালাবাজারে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা সম্বলিত প্রচারপত্র বিতরণ করেন ইলিয়াসপত্নী লুনা।