জগন্নাথপুর টাইমস ডেস্ক :
কবিরা সমাজের বিবেক। কবিদের রচনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দূর্গ গড়ে তুলে। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারী শাসকের শোষণ, জুলুম আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে দ্রোহে আগুন জ্বলে উঠেছিলো। আর সেই দ্রোহকালের অগ্নিসাক্ষী আজকের এই কবিতা পরিষদ।
জাতীয় কবিতা পরিষদ সিলেট জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক ও ডিনারপার্টির আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি, সিনিয়র সাংবাদিক, বালাগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক লিয়াকত শাহ ফরিদী এ কথাগুলো বলেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটের জিন্দাবাজারের একটি রেঁস্তোরায় জাতীয় কবিতা পরিষদ সিলেট জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক ও ডিনার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়।
কবি নিপু মল্লিকের সভাপতিত্বে ও সহ সাধারণ সম্পাদক মাসুদা সিদ্দিকা রুহীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি মুহিবুর রহমান কিরণ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু, সরকারি মদন মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি হোসনে আরা কামালী।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি মুহিবুর রহমান কিরণ বলেন, কবিতা হলো অবিরত সাধনার বিষয়। কবিতায় প্রেম, দ্রোহ, কল্পচিত্র থাকবে। চারিদিকে এখন অকবিদের দৌরাত্ম। তথ্য প্রযুক্তির যথেচ্ছা ব্যবহারে অনেকেই সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান। তাতে চেনা জানা হয়। কিন্তু কালের বুকে টিকে থাকা যায় না। টিকে থাকতে হলে বিশ্ব সাহিত্যে অগাধ দখল থাকা প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সরকারি মদন মোহন কলেজ সিলেটের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কবি হোসনে আরা কামালী বলেন- কাব্য, কবিতা, পদ্যের প্রকারভেদে লেখকেরও ভিন্নতা রয়েছে। কবি, গীতিকবি, পদ্যকার হিসেবে তাদের পরিচিতি ঘটে। এখন একজন লেখক নির্ধারণ করবেন তিনি সাহিত্যের কোন শাখায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। তবে সাহিত্যের যে কোন শাখাতে আরোহন করা সহজতর নয়। কঠোর সাধনা ছাড়া, অগাধ পঠন পাঠন ছাড়া নিজেকে প্রকৃত কবি হিসেবে খ্যাত করা সম্ভব নয়।
ফরমায়েশি লেখা লিখে নিজেকে পরিচিত করা গেলেও সহজে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। তবে নিয়মিত লেখা লিখতেও নানা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। তাই উচিৎ একজন কবি সংগঠন করার আগে নিজেকে কবি হিসেবে গড়ে তোলা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট ছড়াকার ও আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, কবিতা পরিষদ একটি প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন। তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আপোষহীন মনভাবসম্পন্ন কবিরা কবিতা লেখায় শুধু সীমাবদ্ধ থাকেন না। যে কোন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে রাজপথকেও বেছে নেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিহির মোহন।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সর্বকবি অঞ্জন কুমার পাল, ধ্রুব গৌতম, হিমাংশু রায় হিমেল, মোস্তাক চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম লিটন, মোঃ ফারুক হাসান সুজন, এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, ফুয়াদ বিন রশীদ, সন্তোষ রঞ্জন পাল, মোহাম্মদ শরীফ আহমদ, জালাল জয়, মোঃ সহিদুল ইসলাম, লাহিন নাহিয়ান, সমর কুমার দাস, রোকসানা বেগম, ইফফাত জাকিয়া লুবাবা,
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উত্তম কুমার চৌধুরী, নাছরিন সুলতানা, বিমান বিহারী বিশ্বাস প্রমূখ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি