জগন্নাথপুর টাইমসরবিবার , ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা : সিলেট-টেকনাফে সঞ্চিত শক্তি মুক্ত হয়নি

Jagannathpur Times Uk
নভেম্বর ৩০, ২০২৫ ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বেলাল আহমেদ বকুল,
জগন্নাথপুর টাইমস অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা, সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাবডাকশন জোনে গত ৮০০-১০০০ বছরের সঞ্চিত শক্তি এখনো মুক্ত হয়নি, যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক সতর্কসংকেত।
বাংলাদেশে একটি ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নিয়ে দেশের বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অবস্থিত ‘মেগাথার্স্ট’ ফল্ট থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ভূমিকম্প নিয়ে বাংলাদেশের উচ্চ ঝুঁকির কথা তুলে ধরে ২৯ নভেম্বর ২০২৫, রাজধানী ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে ‘আর্থকুয়েক অ্যাওয়ারনেস, সেফটি প্রটোকল অ্যান্ড ইমার্জেন্সি প্রিপারেডনেস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে জেসিএক্স ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ তিনটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত এবং দেশটি ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সঠিক প্রস্তুতি ও জনসচেতনতা তৈরি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ক্ষতি ও প্রাণহানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।

সেমিনারে দেশি-বিদেশি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ, স্থপতি, প্রকৌশলী, রিয়েল এস্টেট উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে একটি ভূমিকম্প-সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করান, গত ১০০ বছরে বাংলাদেশে ২০০টির বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে এবং ২০২৪ সালের পর কম্পনের হার আরও বেড়েছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ‘মেগাথার্স্ট’ ফল্ট থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন, সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাবডাকশন জোনে গত ৮০০-১০০০ বছরের সঞ্চিত শক্তি এখনো মুক্ত হয়নি, যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক সতর্কসংকেত।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাপানের ভূমিকম্প-সহনশীল স্থাপত্য বিশেষজ্ঞ কেসিরো সাকো এবং হেসাইয়ে সুগিয়ামা। তারা জাপানের ভূমিকম্প-পরবর্তী অভিজ্ঞতা, নিরাপদ অবকাঠামো নকশা এবং আধুনিক টেকসই নির্মাণমান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন।

বক্তারা বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর স্ট্রাকচারাল অডিট, কাজের মান কঠোরভাবে তদারকি, জরুরি উদ্ধার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর প্রাথমিক সতর্কবার্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। পাশাপাশি নাগরিকদের নিয়মিত ড্রিল, সচেতনতা কার্যক্রম এবং পরিবারভিত্তিক জরুরি প্রস্তুতির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ তিনটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে—ভারত, মিয়ানমার ও ইউরেশীয় প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সিলেটের ডাউকি ফল্ট, চট্টগ্রাম–টেকনাফের চিটাগং-আরাকান ফল্ট এবং মিয়ানমারের সাগাইং ফল্ট দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে। দ্রুত নগরায়ণ, ঘনবসতি, বিল্ডিং কোডের অবহেলা এবং সংকীর্ণ সড়ক পরিস্থিতি ঝুঁকি আরও জটিল করে তুলেছে।

জেসিএক্স ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ঢাকায় সম্প্রতি অনুভূত একাধিক ভূমিকম্প দেশের ঝুঁকি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। দ্রুত নগরায়ণ, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং দুর্বল ভবন কাঠামোর কারণে বড় কোনো ভূমিকম্প ঘটলে বিপর্যয় ভয়াবহ হতে পারে। তাই সচেতনতা, প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, আবাসন খাত ও জনগণ—এই তিনটি স্তম্ভ শক্তিশালী হলে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলা করা সম্ভব।

ভূমিকম্পের ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মধ্যে বাংলাদেশ: সতর্ক হোন, সচেতন হোন, আতন্ক নয় :
বাংলাদেশ এখন বাস্তবভাবে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এটা কোনো অনুমান নয়, বরং দেশটির ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে ভয়ংকর সত্য। ২৮ মার্চের ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল মায়ানমার থেকে, কিন্তু আজ ২১ নভেম্বর ৫.৫ মাত্রার কম্পনের উৎস ছিল নরসিংদীর ঘোড়াশালেই। এ অবস্থায় একই সময় কলকাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, ভারত ও বার্মা প্লেটের পাশাপাশি বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, যে কোনো সময় দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ইতিকথা :

বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮২২ সালে সিলেটে ৭.৫ এবং শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৯১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার একটি বড় ধাক্কা আঘাত হানে। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রামে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে, আর ১৯৯৯ সালে মহেশখালী দ্বীপে ৫.২ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া ১৯৫০ সালে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের কম্পন বাংলাদেশে অনুভূত হয়েছিল।

পৃথিবীর বিভিন্ন শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাবও বাংলাদেশে পড়েছে। ২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আশপাশের দেশগুলোতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল, বাংলাদেশও তার বাইরে ছিল না। ১৮৯৭ সালে শিলং প্ল্যাটুতে ৮.২ মাত্রার ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’ হয়, এতে সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থান তিনটি টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে—উত্তরে তিব্বত প্লেট, পূর্বে বার্মা সাব-প্লেট এবং পশ্চিমে ইন্ডিয়া প্লেট। এই প্লেটগুলো গতিশীল এবং এর ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শক্তি জমে থাকে। বিশেষজ্ঞদের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, ধ্বসে পড়তে পারে লাখো ভবন, আর প্রাণহানির সংখ্যা দুই-তিন লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

ঢাকার ঘনবসতি, দুর্বল ভবন কাঠামো এবং নগরের বর্তমান প্রস্তুতি খুব সীমিত। তাই শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে। ঝুঁকি কমাতে এখনই ভবন কাঠামো পর্যালোচনা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ মোকাবিলার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
ভূতত্ত্ববিদরা সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশে শত বছর ধরে জমে থাকা শক্তি যে কোনো মুহূর্তে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আকারে মুক্ত হতে পারে। তাই সময় থাকতেই সুষ্ঠু প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক।

জেনে রাখুন সমুদ্রের নিচে ভূমিকম্প কেন হয়?

আমাদের পৃথিবীর ওপরের অংশ বা ভূপৃষ্ঠ বিভিন্ন প্লেটে ভাগ করা। এই প্লেটগুলো সবসময় নড়াচড়া করে। কোথাও প্লেট একে অপরকে ঠেলে দেয়, কোথাও পাশ কাটিয়ে যায়, আবার কোথাও নিচে ঢুকে যায়। এমন ক্ষেত্রে যেমন ভূমিকম্প হয়, তেমন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকেও ভূপৃষ্ঠে কম্পন সৃষ্টি হতে পারে। এটি মাটির ওপরে বা পানির নিচে যে কোনো জায়গায় হতে পারে।

২৩ কোটি থেকে ২৮ কোটি বছর আগেও পৃথিবীর সব মহাদেশ মিলে এরকম একক ভূখণ্ড ছিল বলে তত্ত্ব রয়েছে। এটিকে বলা হয় প্যাঞ্জিয়া। টেকটনিক প্লেটের ক্রমাগত অবস্থান পরিবর্তন থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেকগুলো ভূখণ্ড হয়েছিল বলে জানা যায়। এর সপক্ষে অনেক ধরনের প্রমাণও রয়েছে। এর মাঝে একটি পানির নিচে থাকা দীর্ঘতম পর্বতমালা মিড আটলান্টিক রিজ যেভাবে পৃথিবীকে ভাগ করেছে, এর মাত্র ১০ শতাংশ মাটির উপরে যা আইসল্যান্ডে পরিষ্কার দেখা যায়।

সুনামি কীভাবে তৈরি হয়?

সুনামি অনেকটা বিশাল আকারের জলোচ্ছ্বাসের মতো। সাধারণত ভূমিকম্প হলেই সুনামি হয় না। সুনামির জন্য ভূমিকম্প খুব শক্তিশালী হতে হয়। এছাড়া মোটামুটি অগভীর সমুদ্রতলে এরকম কম্পন সৃষ্টি হওয়াটাও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। আর এমন কম্পন সমুদ্রের তলদেশকে উপরে বা নিচে ঠেলে দিলে, বিশাল পরিমাণ পানি সরে গেলে সেটি সুনামি ঘটাতে পারে। এমন বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় থেকে সুনামি হতে পারে।

বাংলাদেশে সুনামির ঝুঁকি কতটা?

এমনিতে প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীতে ভূতাত্বিকভাবে সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চল যেটাকে রিং অব ফায়ার বলা হয়। এরকম বিভিন্ন সক্রিয় অঞ্চল বা সাবডাকশন জোন থাকে। বড় সুনামি সৃষ্টিকারী সাবডাকশন জোনগুলো বাংলাদেশ থেকে বেশ দূরে। বাংলাদেশ দুইটা বড় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে, যা চট্টগ্রাম-আরাকান থেকে আন্দামানের দিকে চলে গেছে।

তবে বাংলাদেশে সুনামির ঝুঁকি নিয়ে অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, বাংলাদেশের খুব কাছাকাছি, সাগরের নিচে খুব নিকটবর্তী সময়ে বড় ভূমিকম্প এবং তা থেকে সুনামির শঙ্কা নেই।

আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, নরমালি ভূমিকম্প থেকে ওই রকম সুনামির ঝুঁকি নেই। কিন্তু আন্দামান নিকোবরে হলেও ওটা আমাদের জন্য একটা সোর্স অঞ্চল। আমরা টেস্ট বেসিসে সবসময় রেডি থাকি, এটা হলে যেন আমরা সাথে সাথেই সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি।

অতীতের নানা নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে ১৯৬২ সালে আরাকান কোস্টে প্রায় সাড়ে আট মাত্রার একটি ভূমিকম্প থেকে বড় সুনামি হয়েছিল। ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছিলেন, এই প্লেটে ভূমিকম্প হলে অবশ্যই বড় সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখানে খুব তাড়াতাড়ি এই বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সে সময়কার তথ্যে জানা যায়, তখন বড় ধরনের সুনামির তৈরি হয়েছি, যা উপকূল থেকে অনেকদূর পর্যন্ত ভেতরে এসে পৌঁছেছিল। যদিও তখন মানুষ কম ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয়তো তত বেশি হয়নি। তবে ঢাকায় নদীর পানি বেড়ে গিয়ে পাঁচশো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়।

বিবিসিকে অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘এর পর আর এই অঞ্চলে এত বড় ভূমিকম্প বা সুনামির তথ্য পাওয়া যায় না। আমাদের হিসাবে, একবার ভূমিকম্প হওয়ার পর ওই প্লেটে শক্তি সঞ্চয় হয়ে পরবর্তী ভূমিকম্প হতে আরো ৫০০ থেকে ৯০০ বছর লেগে যায়। সেই হিসাবে এখানে ওই প্লেটে (আরাকান প্লেটে) ভূমিকম্প হতে আরো দুইশো-আড়াইশো বছর বাকি আছে।’

ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ‘ফানেল শেপ’ অবস্থায় রয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র দক্ষিণ দিতে প্রসারিত হয়ে গেছে।

সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেছিলেন, আন্দামান বা ভারত মহাসাগরে যদি বড় সুনামি তৈরি হয়, ফানেল শেপ হওয়ার কারণে তার প্রভাব কিছুটা বাংলাদেশে এসেও লাগবে। যদিও সেটা হয়তো ইন্দোনেশিয়ার মতো অতোটা ভয়ানক হবে না।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সম্পর্কে খুব আগেভাগে সতর্ক করা সম্ভব না হলেও যেহেতু ভূমিকম্পের পরে পানিতে সুনামির সৃষ্টি হয়, ফলে সুনামি সম্পর্কে আগেভাগে সতর্ক করা যায়। তবে বাংলাদেশের জন্য সমুদ্রে ভূমিকম্পের চেয়ে ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ভূমিকম্পের যে ঝুঁকি রয়েছে সেটিই এখন বেশি শঙ্কার জায়গা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।