ডেস্ক:
মানুষ ভুল বা দোষ করলে সমাজ বা রাষ্ট্রে আইন আছে, কানুন আছে, সমাজের রীতি-নীতি আছে, তাই বলে ভুলের শাস্তি আগুনে পুড়িয়ে মারা নয় ।
ডিসেম্বর ২০২৫, বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ভোলায় যে- একজন মানুষকে শাস্তি দিয়ে ঝুলিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো, তা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানায়।
এ প্রসঙ্গে ইসলাম, হাদিস এর শিক্ষা কি ? আসেন প্রথমে নিজে জানার চেষ্টা করি, অন্যকে জানাতে চেষ্ঠা করি ।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম।
তিনি পেশাব-পায়খানা করতে চলে গেলেন। অতঃপর আমরা একটি লাল রঙের (হুম্মারাহ) পাখী দেখলাম। পাখীটির সাথে তার দুটো বাচ্চা আছে। আমরা তার বাচ্চাগুলোকে ধরে নিলাম। পাখীটি এসে আমাদের আশে-পাশে ঘুরতে লাগল।
এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন এবং বললেন, এই পাখীটিকে ওর বাচ্চাদের জন্য কে কষ্টে ফেলেছে? ওকে ওর বাচ্চা ফিরিয়ে দাও।
তারপর তিনি পিঁপড়ের একটি গর্ত দেখতে পেলেন, যেটাকে আমরা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। তা দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এ গর্তটি কে জ্বালাল? আমরা জবাব দিলাম যে, ’আমরা (জ্বালিয়েছি)।’ তিনি বললেন, ‘আগুনের মালিক (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আর কারো জন্য সঙ্গত নয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬৭৭)
হাদিসের শিক্ষা :
কাউকে বা কোনো কিছুকে আগুনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া এমন একটি কাজ যা আল্লাহ তায়ালার একচেটিয়া অধিকার, অন্য কারো জন্য তা বৈধ নয়।
প্রাকৃতিক প্রয়োজন অর্থাৎ, পেশাব-পায়খানার জন্য নিজেকে অন্যদের থেকে আড়াল করার শিক্ষা।
পশু-পাখিরবাচ্চা কেড়ে নিয়ে তাদের উপর নির্যাতন করা নিষেধ।
আগুনে পিঁপড়া এবং পোকামাকড় পোড়ানো নিষেধ।
প্রাণীদের প্রতি করুণা ও দয়া করার তাগিদ দেওয়া এবং ইসলামই প্রথম তা করেছিল।
পশু- পাখির প্রতি মহানবী (সা.)-এর করুণার প্রকাশ।
/এমএসআর/
