সিঙ্গাপুর সংবাদদাতা :
মোঃ শরিফ উদ্দিন একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশী, যিনি দীর্ঘ সময় সিঙ্গাপুরে কর্মরত, সিঙ্গাপুরে কাজের পাশাপাশি লেখালেখি ও সাহিত্য চর্চায় নিজের অবসর সময় কাটান প্রবাসের মাটিতে সময় পেলেই যিনি প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সময়সাময়িক বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন নিজের লেখার মাধ্যমে।
এর আগেও তিনি সিঙ্গাপুরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বই প্রকাশ করেছে এবং সিঙ্গাপুরিয়ান ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পেলেছেন, এইবারও তিমনি একটি বিষয় নিয়ে লেখা তার বই “এ জার্নি বাই লরি”।
রবিবার (২৩ এপ্রিল ২০২৩) সিঙ্গাপুরের জালান কিলাং রোডের এ বি এম বিল্ডিং এর ৪র্থ তালায় একটি হল রুমে অনুষ্ঠিত হয় প্রবাসী মোঃ শরিফ উদ্দিনের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, বিশ্ব বই দিবসকে স্মরণে রেখে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমরা “এ জার্নি বাই লরি” বইটির মোড়ক উন্মোচন করতে পেরে খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।
৩৯জন দেশী বিদেশী শ্রমিকের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা এই বইটি। এবং এই দেশের ২৫জন স্থানীয় চিত্রশিল্পীর অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে এই বইটিতে।
মূলত লরিতে চড়ার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে এই দেশের শিল্পীরা তাদের মনের ভাব রংতুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে।
এই আধুনিক শহরে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য লরি একটি আতংকের নাম। প্রতিদিন ভোরে মৃত্যুভয় নিয়ে কর্মস্থলে ছুটে চলে এই দেশের বেশীরভাগ প্রবাসী শ্রমিকরা। অনিরাপদ অবকাঠামোর জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রতি বছর আহত হচ্ছে শতশত শ্রমিক। অনেক শ্রমিক নিহত হয়ে পরিসংখ্যানের খাতায় নাম লেখিয়েছে।
এতো কিছু জানার পরেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকায় আমরা প্রবাসী শ্রমিকরা সরাসরি কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা। যার ধরুন আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের অনুভূতিগুলো ডকুমেন্ট আকারে বইটিকে সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার।
আশা করি “এ জার্নি বাই লরি” বইটি এই দেশের সচেতন মানুষদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এমন একটি আধুনিক শহরে নিন্ম আয়ের শ্রমিকদের জন্য এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত ব্যবস্থাপনা খুবই বেমানান। শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছে। একজন শ্রমিক এই শহরে আসার আগে কখনও ভাবেনা কর্মস্থলে তাকে প্রতিদিন এইভাবে অনিরাপদভাবে যাতায়াত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি