নিউজ ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, গত কয়েক বছর এদেশের রাজনীতিতে যে সংস্কৃতি চলছে তা শোভনীয় নয়। আমাদের একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে।তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামীতে সুবাতাস বইবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে ২০২৩) বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও আড্ডায় এ কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানের ইম্মান্যুয়াল পার্টি সেন্টারে এ আড্ডা শুরু হয়ে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ছিল রাতের খাবারের আয়োজনও। অনুষ্ঠানে আগত প্রত্যেককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জিএম কাদের আরো বলেন, গত কয়েক বছর এদেশের রাজনীতিতে যে সংস্কৃতি চলছে তা শোভনীয় নয়। রাজনৈতিক নেতারা কারও প্রতিপক্ষ নন, একে অপরের যেন শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিকভাবে আমাদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। আমরা দেশের রাজনীতিতে কাজ করে যাচ্ছি, কাজ করে যেতে চাই।
ঈদ পুনর্মিলনী হলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের একসঙ্গে বসার পেছনে রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এর মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন- জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, নিতাই চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মন্ডল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাগপা একাংশের রাশেদ প্রধান, জাগপার আরেক অংশের খন্দকার লুৎফর রহমান, মেজর (অব.) হানিফ, ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, সাংবাদিক এমএ আজিজ, কামালউদ্দিন সবুজ, কাদের গণি চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম কাগজী, খুরশিদ আলম, শহীদুল ইসলাম, রাশেদুল হকসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।