অনলাইন ডেস্ক:
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘রিকশায় কোনো পলিউশন নেই। একজন রিকশাওয়ালা ৫০-৬০ বছর ধরে রিকশা চালান। কিন্তু আমরা কি পারব তাদের শেষ বয়সে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন উপহার দিতে? সমাজে যারা দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ, তারা কেউই দরিদ্র হয়ে জন্মায় না। সামাজিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে তাদের এ অবস্থা হয়। আমার বাড়ি হাওর অঞ্চলে। এসব অঞ্চলে রাস্তাঘাটের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা টের পাচ্ছি যে, হাওরের মধ্যে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। বাঁধ নির্মাণে আদতে আমাদের ক্ষতিই হবে। ফলে আমরা বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত যেকোনো প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এছাড়া হাওরের পাখিদেরও রক্ষা করতে হবে।
শনিবার ‘পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্ট্যাডিজ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাই হলো প্রথম পদক্ষেপ। যেটা খুবই দরকার। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। তার নানা কাজের মধ্যে এর প্রমাণ আছে। তিনি আমাদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। আমরা কাজ করি। তিনি হাওর অঞ্চলে আর সড়ক নির্মাণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটি নির্দেশনা আছে যে, নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হলে বাধ্যতামূলক ইটিপি স্থাপন করতে হবে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সরকারের কিছু ওভারল্যাপিং আছে। আমি নিজেও দেখেছি, সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় গভীরভাবে নেওয়া হয় না। যেকোনো সমস্যায় তুলনামূলক জুনিয়রদের পাঠানো হয়। সে হয়ত গভীরতাটা বুঝতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘মহাবিশ্ব নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছে আর গড়ছে। তার সঙ্গে সমন্বয় করেই আমাদের থাকতে হবে।’