আনসার আহমেদ উল্লাহ ঃ
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ, সইদেরগাঁও ইউনিয়ন, রেলগেট, সোহিতপুর ও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের নুতনবাজার এলাকাসহ বিভিন্নএলাকা থেকে বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ছাতকের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছাতকের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ওইসব এলাকা থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়াহবে না, তার কারণ দর্শানোর জন্য হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে রুল জারি করেছে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুনামগঞ্জের বাসিন্দা আইয়ুব করম আলী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা ও রুল জারি করেন।
গত ১৫ জুলাই দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত “ছাতক: ময়লার দুগন্ধে পথচারীরা অতিষ্ঠ’’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা জনস্বার্থ মামলা হিসাবে আবেদনটি জমা দেয়।
শুনানির সময় আবেদনকারীদের আইনজীবী আয়ুন্নাহার সিদ্দিকা আদালতকে বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর অধীনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।
কিন্তু নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন না হওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান আইনজীবী।
আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোঃ নাজমুল করিম, শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।