নিউজ ডেস্ক : ‘আমার বাবার আত্মস্বীকৃত খুনি ইনকিলাব পত্রিকার মাওলানা মান্নান। তাকে জিয়াউর রহমান প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আর এরশাদের আমলে সে হয় মন্ত্রী।-বেশ আবেগতাড়িত কণ্ঠে এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ মার্চ ২০২৩) বাংলাদেশে পাকিস্তানে বর্বরোচিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ওয়ান বাংলাদেশের সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ান বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও ওয়ান বাংলাদেশের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি নবনীতা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ওয়ান বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম, রাবি উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম টিপু এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
সেমিনারে ডা. নুজহাত চৌধুরী আরো বলেন, আমরা এই গণহত্যার একটি জাতীয় স্বীকৃতি চেয়েছিলাম। সেটাই তো মেলেনি। ১৯৭৫ থেকে ‘৯৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা তো খুনিদের অংশ ছিলেন। তারা তো জাতির পিতাকে খুন করেছে। তারাই তো রাজাকার আলবদরদের নিয়ে সরকার গঠন করেছে। খালেদা জিয়াও বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল হোতা নিজামী ও মুজাহিদকে বেছে বেছে মন্ত্রী করল। সুতরাং জাতীয় স্বীকৃতি আপনি পাবেন কোথায়? তাই তো ফিরে ফিরে আসি,কথাগুলো আপনাদের বলি।
একদিন সত্যের জয় হবে এবং বাংলাদেশ এই গণহত্যার ন্যায্য স্বীকৃতি অর্জন করবে জানিয়ে নুজহাত চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে যেভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনাদের ছেলে-মেয়ে, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম এভাবেই আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য। যেন আপনার ছেলেকে আবার সেই বধ্যভূমিতে পরে থাকতে না হয়।