এসকেএম আশরাফুল হুদা,
অনলাইন ডেস্কঃ
গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরাইলি বোমা বর্ষণের বিরুদ্ধে আরব-ইসলামি নেতারা সোচ্চার হলেও দেশটির বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান গ্রহণ এবং সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি তারা।
এছাড়া ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব আজমি মিকাতি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকা উইদোদো অংশ নেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা তীব্র ভাষায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইল অপরাধ ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
কিন্তু সম্মেলনের ফলাফলে এই যুদ্ধ কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়।
শনিবারের সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় ইসরাইলের আত্মরক্ষার দাবিটি প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ‘সিদ্ধান্তসূচক ও বাধ্যতামূলক প্রস্তাব’ গ্রহণ করতে বলা হয়। এতে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়, গাজাকে পশ্চিত তীর থেকে আলাদা করে, এমন কোনো রাজনৈতিক প্রস্তাব গ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়।
তবে ইসরাইলে তেল সরবরাহ বন্ধ করা, ইসরাইলের সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো প্রস্তাব গৃহীত হয়নি।
মূলত মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান, মরক্কো, মৌরিতানিয়া ও জিবুতির বিরোধিতার কারণে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ, ইসরইলকে বয়কট করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা যায়নি।
সম্মেলনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেন।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরাইলি সেনাবাহিনীসে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করার দাবি জানান। তিনি ‘নদী থেকে সাগর’ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। এর অর্থ হলো ইসরাইল রাষ্ট্রের বিলুপ্তি।
সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, টাইমস অব ইসরাইল, আরব নিউজ