নিউজ ডেস্ক :
ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই-এর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ।
রবিবার (১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০/২৬শে নভেম্বর ২০২৩) বাংলা একাডেমি ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই-এর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। একক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শিল্পী রানী রায়।
সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর।
স্বাগত বক্তব্যে ড. সরকার আমিন বলেন, বাংলা ভাষা গবেষণায় মুহম্মদ আবদুল হাই এক শ্রদ্ধেয় নাম। আমরা যখনই বাংলা ভাষা চর্চা করি তখনই তিনি অনিবার্যভাবে আমাদের স্মরণে আসেন।
একক বক্তৃতায় অধ্যাপক সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান বলেন, মুহম্মদ আবদুল হাই বাঙালির কাছে এবং বৈশ্বিক জ্ঞানসাধনায় শেষ পর্যন্ত একজন ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবেই অমরত্ব লাভ করবেন। তাঁর সমকালীন ভাবনা অধ্যয়নে ব্যক্তি মুহম্মদ আবদুল হাই-এর ভাবনার কিছুটা নাগাল হয়ত পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি অনুসৃত হবেন ভাষা-গবেষকের চিন্তায় ও কর্মে। ভ্রমণ-আখ্যান লেখক কিংবা সমাজ ও সংস্কৃতি চিন্তক পরিচয় গৌণ করে দিয়ে বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব গবেষণায় তিনি সবসময় অগ্রগণ্য হবেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে উপসচিব শিল্পী রানী রায় বলেন, গবেষকদের কাছে তো বটেই, সাধারণ বাঙালির কাছেও মুহম্মদ আবদুল হাই নামটি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উচ্চারিত। কারণ তিনি আমাদের মাঝে ভাষা ও ব্যাকরণ-সচেতনতা তৈরি করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মুহম্মদ আবদুল হাই ছিলেন জাতির শিক্ষক। তিনি ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্বের জটিল প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গের পাশাপাশি বিলাতে সাড়ে সাতশত দিন বই লিখে বাংলা ভ্রমণসাহিত্যেও তাঁর আসন পাকা করে নিয়েছেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ড. মোঃ হাসান কবীর বলেন, মুহম্মদ আবদুল হাই বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব গবেষণায় এক অবিস্মরণীয় নাম। বাঙালি জাতি চিরকাল তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি