নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো ‘ঢাকা গেট’ সংস্কার হয়েছে। দেশের গৌরবময় এই ঐতিহ্য বহুদিন অবহেলিত থাকলেও নতুন করে আবারও সাজল। এতে আবারও দৃশ্যমান হয়েছে ঢাকা গেট। নতুন পরিকল্পনায় দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে সেখানে চত্বর করা হয়েছে।
এশিয়াটিক সোসাইটির ঢাকা কোষ এবং অন্যান্য ইতিহাসগ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ‘ঢাকা গেট’ নির্মাণ করা হয়। ঢাকার সীমানা নির্ধারণ ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এই গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। আওরঙ্গজেবের শাসনামলে বাংলার সুবেদার হিসেবে পাঠানো হয় মীর জুমলাকে। তিনিই এই গেট নির্মাণ করেন। এই গেটের নাম ‘মীর জুমলার গেট, ময়মনসিংহ গেট, ঢাকা গেট ও রমনা গেট’ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৫ সালে চার্লস ডয়’স ঢাকা গেটের সংস্কার করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংস হতে বসা ঢাকা গেটকে সংস্কারের উদ্যোগ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গত বছরের ২৪ মে তিনি ঢাকা গেটের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। মেয়র তাপসের নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি ছিল ঐতিহ্যের ঢাকা সংরক্ষণ। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এই উদ্যোগ নেন। উদ্বোধনের দিন তিনি বলেছিলেন, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সব স্থাপনা ধাপে ধাপে সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে; যাতে করে পর্যটকরা এসে ঢাকাকে জানতে পারেন, বুঝতে পারেন এবং শিখতে পারেন। এই গেট সংস্কারে ডিএসসিসির ব্যয় হয়েছে ৭২ লাখ টাকা।