জগন্নাথপুর টাইমসবৃহস্পতিবার , ৪ জুলাই ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কারিকা ‘ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ’র কবিতার বই ও কিছুকথা- ড. সাহেদা আখতার

Jagannathpur Times Uk
জুলাই ৪, ২০২৪ ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কারিকা ‘ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ’র কবিতার বই ও কিছুকথা।
ড. সাহেদা আখতার
::
প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, দর্শন, মুরারিচাঁদ কলেজ, সিলেট।
একাধারে কবি,দার্শনিক,বিনয়ী, প্রাজ্ঞ একজন সপ্রাণ মানুষ। চতুর্দশ বিসিএস কর্মকর্তা হলেও দরশনে ও আচরণে তারুণ্যে উদ্ভাসিত সজ্জন।
‘কারিকা ‘ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ’র কবিতার বই। বাংলার প্রকাশন,ঢাকা থেকে বইমেলা ২০২০ এ প্রকাশিত।

৭ ডিসেম্বর ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বাবার কর্মস্থল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারে বসে লেখা কবিতা দিয়ে শুরু, ৮ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে আপনাবাস ‘ ক্ষণকাল ‘সাভারে বসে লেখা কবিতা দিয়ে শেষ। প্রায় ত্রিশ বছর ব্যাপ্তিতে লেখা ২৬ টি কবিতার সংকলন। প্রতিটি কবিতার সমাপ্তিতে স্থানিক পরিচয় দেয়া আছে, দুটি কবিতায় আছে সময়ের উল্লেখ।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টার , এমএম কলেজ, যশোর,এনসিটিবি,ঢাকা কর্মস্থলে আর নিজ বাসভূম ‘ ক্ষণকাল ‘ সাভারে বসে লেখা সব কবিতা। যেখানে ব্যক্তি ও কর্মীর সাথে যুক্ত হয়েছে কবিমন।কবির পাশে দাঁড়ানো একজন দার্শনিকের ঐকতান।

‘ কারিকা ‘,অল্প কথায় একাধিক অর্থ বোঝায় এমন কবিতা।একশব্দে, শিল্পকর্ম। যে শিল্পকর্ম দুইপুত্র সন্তানের জনকের কাছে হয়ে উঠেছে ‘ আত্মজা। ‘ ভূমিকায় স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন,
‘ ভাবনা এবং নির্জনতার নিয়ত নিঃস্বার্থ সঙ্গমে তা বাণীবদ্ধ
হবার ঐকান্তিক কামনায় পথ হেঁটেছে আমার লেখাগুলোতে।চোখের জলে সেগুলোকেই আমি বরণ করে
নিয়েছি গভীর মমতায়। এগুলোই আমার আত্মজা। ‘

কবি মো. হাবিবুল্লাহ,মায়ের গর্ভ উন্মোচন করে যিনি পেয়েছিলেন প্রথম স্বাধীনতার আস্বাদন। তিনি আকাশকে দেখেন
‘ শব্দহীনের বহু শব্দ
কথাহীনের বহু কথা
মিলনের,বিরহের অথবা বিচ্ছেদমিলনের
নদীর কালো জলের অন্তরে
অথবা নরম ঢেউয়ের অভিসারে। ‘
বিভাগে বসে থেকেও শিক্ষার্থীর কর্মচাঞ্চল্যে অসুরের ডানা ভাঙা সুরকে খুঁজে পান কবি, যেখানে আকাশ আলোকময় হয়।
‘ অতঃপর জীবন ‘ শিরোনামের ভেতর তাঁর চোখে
‘ জীবনটা সিনেমার ফিতা
একটার পর একটা ঘটনা
জীবনের গায়ে জীবন
ট্রেণের চাকার মত
যন্ত্রণাকাতর প্রবাহ। ‘
আবার কখনো বা জীবনের’ সর্বনাশা হিংস্রতায় ‘ কবির ‘ স্বপ্ন ভেসে যায়। ‘

পিতৃভূমি যশোরকে সাজাবেন বলে মো. হাবিবুল্লাহ আত্মস্বরে
অনুনাদ করেন প্রসব যন্ত্রণায়। কবিতার পায়ে মল পরিয়ে,লাল আলতা মাখিয়ে, পায়ের তলে প্রেমিক বিমুগ্ধ সুরে কত শত ঘন্টার রজনী করেন পার। এ যেন সাচ্চা প্রেমিক।

কবির কাছে ‘ প্রশ্ন নিরোত্তর ‘
‘ মানুষ ফুলকে কেন ভালোবাসে?
তাকে ইচ্ছেমতো ছেড়া যায় বলে?

শ্লোগান, আন্দোলন,প্রতিবাদের ভাষা নেই বলে? ‘
কী মৌলিক প্রশ্ন! যার উত্তর মেলে না।

সর্বদর্শী দৃষ্টিতে তিনি ‘ এক দেশের ভেতর অন্য দেশকে ‘ দেখেছেন, দেখেছেন ‘ এক মনের বিচিত্র বেশ। ‘যেখানে
‘ সত্য ফেলে শেষ নিশ্বাস,
মিথ্যার অবিরাম প্রশ্বাস।
কোকিলের বাসায় কাক,
নৈতিকতা নির্বাক। ‘
‘ মাকাল কাল ‘ এর চিত্র আর সত্য-অসত্যের তফাৎ নির্মাণে কবি সফল। স্যালুট কবি।

প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ স্যারের স্বল্প সময়ের সাহচর্য, সহকর্মী হিসেবে আমাকে ঋদ্ধ করেছে। প্রাজ্ঞতা,বন্ধুসুলভ আচরণের কথা সঞ্চয়ের শেষ হিসাবে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

লেখক:
ড. সাহেদা আখতার, সাবেক অধ্যাপক-বাংলা বিভাগ, সরকারি মুরারিচাঁদ  কলেজ, সিলেট।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।