ঢাকায় লিটল ম্যাগাজিনকে সম্মাননা ও কিছুকথা
—হাফিজ রশিদ খান
৬ এপ্রিল ২০২৩, বিকালবেলায় ঢাকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এদেশের ৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে সম্মাননা দিল। পুষ্পকরথ (প্রকাশকাল : ১৯৯৩), নিসর্গ অনিন্দ্য, নান্দীপাঠ, গৌড়লিপি, অরণিকা : এ তালিকায় ছিল।
মিলনায়তনভর্তি দর্শক ছিল, যা ঢাকার অনুষ্ঠানগুলোতে সচরাচর দেখা যায় না।
প্রধান অতিথি ছিলেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আলোচক মফিদুল হক, প্রবন্ধ পড়লেন ইসরাইল খান আর সভাপতিত্ব করলেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
সম্মাননারূপে আমাদের দেয়া হলো উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সনদ ও চেক। ভেবেছিলাম, অনুভূতি প্রকাশের ব্যবস্থা তো থাকবেই। কিন্তু ওটা ছিল না। যা হোক, ইফতারের পরে মহাপরিচালক মহোদয়কে নিসর্গ সম্পাদক সরকার আশরাফ, পুষ্পকরথ সম্পাদক হাফিজ রশিদ খান আর লোক সম্পাদক অনিকেত শামীম (তিনি উপস্থিত ছিলেন) গিয়ে বললেন, অন্তত যে-লিটল ম্যাগগুলো সম্মানিত হলো আর আগামীতেও হবার সম্ভাবনা আছে, সে-কাগজগুলোকে বছরে একবার একাডেমি থেকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হোক। দুই. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি লিটল ম্যাগাজিন মহাফেজখানা (আর্কাইভ) স্থাপন করা হোক। মহোদয় বিষয়টি মনোযোগ সহকারে শুনলেন।
সম্মাননাপ্রাপ্তির এই উদ্যোগে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রীতিভাজন কবি সৌম্য সালেককে শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর আন্তরিক আচরণ আমাকে সময় ও ব্যয়বহুল ঢাকা শহর গমনে প্রণোদিত করেছে। শিল্পকলা একাডেমির এই ইতিবাচক ধারণাটি অব্যাহত থাকুক।
বাংলাদেশের প্রকৃত লিটলম্যাগগুলো সম্মানিত হোক।
আমার সবিশেষ আনন্দ ছিল যে, ওই সময়ে পুষ্পকরথ-এর দুই আদি শুভানুধ্যায়ী কবি হাবিব আহসান আর কথাসাহিত্যিক খোকন কায়সার উপস্থিত ছিলেন।
আরও যাঁদের নাম জানতাম তাঁদের কৃতীর জন্যে, কখনও দেখা পাইনি, তেমন কিছু মুখ দেখেছি সপ্রতিভ আর আন্তরিক। এ অনুষ্ঠানে তাঁদের একপলক দেখা পেলাম আর দুটো কথা বললাম, এও ভারি আনন্দের ছিল।