জগন্নাথপুর টাইমসরবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশের লাইসুল হক জিতলেন ইস্ট লন্ডন আর্ট প্রাইজ ২০২৫

Jagannathpur Times Uk
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ৯:০১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সাজিদুর রহমান,

জগন্নাথপুর টাইমস ডেস্ক  : ‘ইস্ট লন্ডন আর্ট প্রাইজ’–এর এ বছরের বিজয়ী হয়েছেন চিত্রশিল্পী লাইসুল হক। বিজয়ী চিত্রকর্মটিতে তিনি তাঁর শৈশবের প্রিয় স্মৃতিকে ভিজুয়াল আর্ট হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

ইস্ট লন্ডন আর্ট প্রাইজের দ্বিতীয় পর্বের বিজয়ী হলেন ভিজুয়াল আর্টিস্ট লাইসুল হক। লাইসুলের জন্ম ১৯৯৮ সালে, ঢাকায়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা শেষ করে তিনি লন্ডনের সেন্ট্রাল সেইন্ট মার্টিনস কলেজ থেকে কনটেমপোরারি ফোটোগ্রাফি ও ফিলসোফিতে ডিগ্রি আর্জন করেন। তিনি মূলত এমন ছবি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন যার পিছনে লুকিয়ে থাকে ইতিহাস।

বিজয়ী শিল্পীকে প্রদান করা হয় পনের হাজার পাউন্ড। সেই সঙ্গে তিনি পাচ্ছেন ২০২৬ সালে ‘বো-র নানারি গ্যালারিতে একটি একক প্রদর্শনীর সুযোগ। লাইসুল হকের ছবিটির শিরোনাম  ‘অ্যান অড টু অল দ্য ফ্লেভারস (২০২৪)। একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ইনস্টলেশন, যার অনুপ্রেরণা শিল্পীর শৈশবের এক ব্যক্তিগত সুন্দর মুহূর্ত। সুতরাং, স্মৃতিকে উপজীব্য করে তৈরি এই ছবি। ছোটবেলায় তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা প্রিয় মিষ্টি ভাগাভাগি করে খেতেন। এ ব্যাপারটিই নিজের ছবিতে তুলে এনেছেন লাইসুল।

ছবিতে পুরনো সোডিয়াম বাতির হলুদ আলোয় দেখা যাচ্ছে উজ্জ্বল একটি বাংলাদেশি মিষ্টির দোকান। কাউন্টারের আদলে নির্মিত এই ইনস্টলেশনের মাধ্যমে ভিনদেশি দর্শকেরাও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির স্বাদ উপভোগ করতে পারছেন। এছাড়াও, বাবার প্রতি লাইসুলের নিঃশব্দ ভালোবাসার প্রকাশ তাঁর ছবিটি। একই খাবার দিনের পর দিন প্রদর্শনীতে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন এই খাবারগুলো নতুন করে বানিয়ে পরিবেশনের দায়িত্ব নিয়েছে ইস্ট লন্ডনভিত্তিক একটি সামাজিক উদ্যোগ ‘ ওইতিজ-জো’ কিচেন।

এই উদ্যোগটি পূর্ব লন্ডনে বসবাসকারী বাঙালি নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে। এরা লাইসুল হকের ইনস্টলেশনটি প্রদর্শনীর উদ্যোগটির প্রচার ও প্রসারে রেখেছে ব্যাপক ভূমিকা। বেশ লম্বা সময় ধরে নানারি গ্যালারিকে ওইতিজ-জো কিচেনের একটি পেইড রিটেইনার ক্লায়েন্টে পরিণত করেছে লাইসুলের প্রদর্শনী; যা তাঁদের সামাজিক উদ্যোগের পরিসর বাড়িয়ে তা সম্প্রসারণে সাহায্য করবে। এই প্রদর্শনীটি ছিল পাঁচদিনের।

চিত্রশিল্পী লাইসুলের শিল্পকর্মটি শুধু গ্যালারির ভেতর সীমাবদ্ধ নয়। এটি দর্শকদের ইস্ট লন্ডনের নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকা সমৃদ্ধ বাংলাদেশি সংস্কৃতির অস্তিত্বকে তুলে এনেছে ইস্ট লন্ডনের গন্ডি ছাড়িয়ে, পুরো পৃথিবীর সামনে।

বিভিন্ন স্থান থেকে দেখতে এসেছেন আগ্রহী দর্শকেরা। এতে করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানের আদলে নির্মিত এই ইনস্টলেশনটি দর্শকদের এমন এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বাদ নিতে আমন্ত্রণ জানায়, যা গ্যালারির বাইরেও বাস্তব পৃথিবী সম্পর্কে তাঁদের ধারণা দিতে সক্ষম।

ইস্ট লন্ডনের অলিগলিতে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি মিষ্টির দোকানগুলো শুধু খাবার নয়, বরং একটি দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অভিবাসনের গল্প বলে। এই চিত্রকর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত দর্শকেরা আসল ‘বাংলাদেশি মিষ্টান্ন ভান্ডার’ খুঁজে বের করতে উদ্বুদ্ধ হবেন।

উল্লেখ্য যে, ইস্ট লন্ডন আর্ট প্রাইজ প্রথম শুরু হয় ২০২৩ সালে। ইস্ট লন্ডনের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভা ও সংস্কৃতিকে খুঁজে পাওয়াই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। এবারে লাইসুলের পরে দ্বিতীয় পুরস্কার জেতেন লিডিয়া নিউম্যান।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।