নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুসলমানদের দুটি ঈদের দিনে যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি চাই এই দাবীতে হোয়াটচ্যাপল স্টেশনের সামনে কারী ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য পেশার মানুষজন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে অধিকার আদায়ে দাঁড়ান অনেক অনেক সচেতন প্রতিবাদী কণ্ঠ ।
তা দেখে ঈদের ছুটির সঙ্গত দাবীতে এসে মিলিত হন আরো অনেক ভোক্তভোগী ও কমিউনিটির সচেতন নাগরিকরা।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল ২০২৩) টাওয়ার হ্যামলেট নতুন টাউন হলের কাছে হোয়াইটচ্যাপল স্টেশনের সামনে বায়ান্নবাংলা টিভি ও পত্রিকার উদোগে “ ঈদের ছুটি চাই” শীর্ষক স্লোগানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবী আদায়ের লক্ষে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে একাত্বতা ঘোষণা করে উপস্থিত হন- সাংবাদিক রহমত আলী, চৌধুরী মুরাদ, মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, সাজু আহমেদ, রেজাউল করিম মৃধা, আব্দুল হান্নান, সহ আরো অনেকে।
উক্ত ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন— যুক্তরাজ্য তথা বিলেতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ইন্ড্রাস্টিতে মুসলিম যারা কাজ করেন তারা ঈদের সময় সার্বজনিন ছুটি পান না।
কিংবা যারা অন্যান্য সেক্টরে কাজ করছেন, দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে অনন্য ভূমিকা পালন করছেন।
বিশেষ করে মুসলিম সমাজের কর্মজীবি নারী-পুরুষ বছরে দুটি ঈদের আনন্দময় সময় পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেন না। কারণ ঈদের সময় কারী ইন্ড্রাস্টিসহ ঐসব অন্যান্য সেক্টরের অধিকর্তারা ছুটি মন্জুর করেন না কর্মজীবিদের জন্য, তথা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন। বাধ্য হয়ে ঈদের আনন্দকে বুকের মধ্যে লুকিয়ে কাজে যেতে হয় কর্মজীবিদের তথা শেফ, ওয়েটার, ম্যানেজার সহ অন্যান্য সেক্টরের মুসলিম কর্মকর্তারা।
বক্তারা আরো বলেন- ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে আনন্দ উপভোগ করাও একটি ইবাদত। ঈদের সময়ে ছুটি পাওয়া এটি একজন মানুষের অধিকার, মানবিক অধিকার। এ আনন্দ থেকে কাউকে বন্চিত করা অগণতান্ত্রিক ও মানষিক নীপিড়ন।
ঈদের ছুটির অন্যতম ক্যাম্পেইনার- ৫২ বাংলা টিভির সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম অভি বলেন- এটি এখন সময়ের দাবী সার্বজনীনভাবে মুসলমানদের দুটি ঈদের দিনে যুক্তরাজ্যে ঈদের ছুটি প্রদান করা।
আমরা ক্যাম্পেইন অব্যাহত রেখেছি, কারী ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হচ্ছে। যথাযথ কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করি সুফল আসবে ।
এসময় বাঙালি কমিউনিটির ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।