নিজস্ব প্রতিবেদক :
“সাফল্যের মুখাবয়ব” মুরারিচাঁদ কলেজ এইচএসসি ব্যাচ ২০২২ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সফল হয়ে আজ আপনারা মেডিকেল, বুয়েট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন।একদিন আপনারাই ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হবেন।
তবে তার আগে আপনাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হলে একজন ভালো ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সম্ভব। আপনারাই আগামীর বাংলাদেশ। সেভাবেই আপনাকে তৈরি হতে হবে।
সম্প্রতি এমসি কলেজের একাডেমিক ভবনের ১০২ নং কক্ষে এমসি কলেজের ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল, বুয়েট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃতি শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ।
প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ বলেন, আমি যা চাই, অনেক সময় তা না পেতেও পারি। এজন্য ভেঙে পড়লে হবে না। আজকে আপনারা যে সফলতা অর্জন করেছেন, তা ধরে রাখতে হবে। নিজের অর্জিত সফলতার ওপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কেননা, অসন্তুষ্ট আত্মা কখনো শান্তি পায় না। আগে ফলাফলের আশা না করে, কাজ করতে হবে, কাজের প্রতি টান থাকতে হবে। মূল্যায়নের আশা না করে কাজ করতে হবে। একদিন না একদিন তোমার কাজের মূল্যায়ন হবে।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সাইফুদ্দীন আহম্মদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলাউদ্দিন খান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক তপতী চৌধুরী প্রমুখ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশির সঞ্চালনায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের জোহরা আহমেদ দ্বোহা, বুয়েটের অপূর্ব দাশ প্রান্ত, শাবিপ্রবির প্রতীক প্রণতীর্থ, বুয়েটের হৃদিতা পাল।
এর আগে একাদশ শ্রেণির রাইয়ানের কোরআন তিলাওয়াত ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিতা দেবের গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
উল্লেখ্য, এবছর এমসি কলেজ থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৫৫জন, বুয়েটে ১৮জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪জন ও দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীরা চান্স পেয়েছেন।