মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
লন্ডন হাই কমিশনে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য র্মযাদায় এবং পবিত্র রমজানের ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে উদযাপন করেছে।
রবিবার (২৬ মার্চ ২০২৩) যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম সকালে দূতাবাসে কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের র্কমসূচির উদ্বোধন করেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
এরপর হাইকমিশনার জাতির পিতা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, “তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা’য় পরিণত হওয়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।”
হাইকমশিনার ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সরকার ও জনগণ এবং যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অসাধারণ অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্ব ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো সুগভীর ও সুদৃঢ় হবে বলে দৃঢ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বাধীনতার ৫২ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিকেলে লন্ডনের কেনজিংটন টাউন হলে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ মন্ত্রী, এমপি, টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পীকার, ক্যামডেনের মেয়র ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি