সাজিদুর রহমান :
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আসন্ন নির্বাচনের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেছেন।
ইশতেহারে ঋষি সুনাকের অন্যতম ঘোষণা হচ্ছে শপ লিফটিং, নাইফ ক্রাইমের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান আসছে। ১২ মিলিয়ন পাউন্ড বেনেফিট কাটের পরিকল্পনাও আছে ইশতেহারে।
এতে ঋষি সুনাক বলেছেন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নের কোনো জবাব নেই লেবার পার্টির কাছে। গত সপ্তাহে আমরা দেখেছি স্টার্মার আপনাদের বলতে পারেননি অবৈধভাবে মানুষ দেশে আসলে তিনি কী করবেন। কারণ তিনি এটিকে কোনো সমস্যা মনে করেন না।
তিনি বলেছেন, এখন ব্রেক্সিটের কারণে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে। কিন্তু গত কয়েক বছরে অভিবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তা কমিয়ে আনতে আমাদের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। গত নির্বাচনে আমরা বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছি।
যার অর্থ হলো যুক্তরাজ্যে আসতে আগ্রহী এমন ৩ লাখ মানুষ এখন আর উপযুক্ত বিবেচিত হবেন না। আমরা অভিবাসীদের সংখ্যা বেধে দেব। যার অর্থ হলো পার্লামেন্টে আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন প্রতি বছর কত সংখ্যক মানুষ দেশে আসতে পারবে।
সুনাক বলেছেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো আমরা অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনব। মূল্যস্ফীতিও অর্ধেকে আনব। এরপর প্রতিবছর তা কমানো হবে।
সুনাকের অঙ্গীকার অনুসারে, নেট অভিবাসন অর্ধেকে নামিয়ে আনলেও প্রতি বছর তা ৩ লাখ ৪০ হাজার থাকবে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি থাকবে। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস)-এর তথ্য অনুসারে, ওই বছর যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, রুয়ান্ডা স্কিমের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনা হবে। তিনি বলেছেন, আমাদের সীমান্ত সুরক্ষাও প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যে নেট অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছেন, কনজারভেটিভ সরকারে আসলে হেল্প টু বাই অর্থাৎ বাড়ি কেনার বিষয়টি সহজ করা হবে। কনজারভেটিভ সরকার ক্ষমতায় গেলে ৪ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড দামের বাড়ি কিনলে স্ট্যাম্প ডিউটি ফ্রি স্থায়ী করার চিন্তা করছে।
মঙ্গলবার সিলভারস্টোনে তিনি এসব অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।
ঋষি সুনাক আরো বলেন, সেল্ফ অ্যামপ্লয়েডদের জন্য ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স বাতিল করার পরিকল্পনা রয়েছে তার ইশতেহারে। বর্তমানে ১২ হাজার পাউন্ডের উপরে ৫০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত আয় হলে ৬ শতাংশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স দিতে হয় সেল্ফ অ্যামপ্লয়েডদের। এটা জিরো করার ঘোষণা আছে তার ইশতেহারে।
২০২৭ সালের মধ্যে জাতীয় বিমা সামগ্রিকভাবে অর্ধেক করার অঙ্গীকারের কথাও বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কর্মজীবী মানুষরা যাতে বেশি অর্থ রাখতে পারে, সেই চেষ্টা আমরা করব। কারণ এটি তাদের উপার্জিত অর্থ। কোথায় তা ব্যয় করবেন, সেই অধিকার আপনাদের থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা শ্রমিক, অভিভাবক ও পেনশনভোগীদের কর কমাচ্ছি। আমরা মার্গারেট থ্যাচার ও নাইজেল লসনের পার্টি। আমরা লেবার পার্টির মতো নই।