মুহাম্মদ সালেহ আহমেদ,
অনলাইন ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলকে আমলে নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় ২৭টি দেশের এই জোট বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ব্রাসেলসে ইইউ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোরেলের পক্ষে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে ইইউ-বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি পুনর্ব্যক্ত করেছে। নির্বাচনে বড় সব দল অংশ না নেওয়ায় ইইউ দুঃখ প্রকাশ করেছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইইউ তার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন এবং সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত জানায়। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার একই চেতনায়, আমরা নির্বাচনী অনিয়মের সময়মতো এবং পূর্ণ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইইউ নির্বাচনকালীন সময়ে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানায়। আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে এ সময় এবং তার পরেও সম্মান করা এবং সমুন্নত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে, বিরোধী ব্যক্তিদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।ইইউর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে সম্পৃক্ত হবে ইইউ সব অংশীদারকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করে।
গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সেন্সরশিপ’ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ।ইইউ তার বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ভবিষতে বাংলাদেশের ‘জিএসপি প্লাস’ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়াসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে এমন অগ্রাধিকার নিয়ে ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।