নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, আমরা সত্যের পক্ষে, সুন্দর প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করি ও মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করি। আমাদের সঙ্গে রয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে, নজরুল, মাইকেল, লালনশাহ, শাহ আবদুল করিম, রাধারমণ দত্ত, দুর্বিনশাহ্সহ সকল মনীষীরা। তারা যখন চর্চিত হবেন না, তখন দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এমন জনপ্রতিনিধি আমরা চাই যারা সংস্কৃতিবান্ধব, প্রবীণবান্ধব ও শিশুবান্ধব। আগামী বাংলাদেশ হতে হবে শিল্পীদের, শিশুদের স্বপ্নের দেশ।
শনিবার (১২ অগাস্ট ২০২৩) সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে হাওর সংস্কৃতি উৎসব আয়োজনের লক্ষে সাংস্কৃতিক সমীক্ষা এবং লুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক উপাদান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন’র সভাপতিত্বে ও জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালকের দপ্তরের কালচারাল অফিসার আবু সালেহ আব্দুল্লাহ, তরুণ লোক গবেষক সৈয়দা আঁখি হক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামছুল আবেদীন প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, প্রায় দুই দিনব্যাপী আমরা এই সমীক্ষা করবো। হাওরাঞ্চলের লুপ্তপ্রায় সাংস্কৃতিক উপদানের যে অনুসঙ্গগুলো আছে সেটি রেকর্ড করবো। এভাবে হাওরাঞ্চলের ৭ টি জেলায় এরকম কর্মসূচি আমরা করবো। সেগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা ও পরবর্তীতে এর বিকাশ ঘটানো আমাদের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলের উন্নয়ন হচ্ছে। এর অনেক সুফল আমরা যখন পাবো, তখনই কিছু চ্যালেঞ্জও চলে আসবে। যখন হাওরের আদি বৈশিষ্ট্য আর থাকবে না, তখন এই সংস্কৃতি নাও থাকতে পারে। তবে আমরা কোনো কিছু হারিয়ে যেতে দেবো না। এই কাজটি করতে এখানে এসেছি। দেশের কয়েকটি আলোকিত এলাকার মধ্যে সুনামগঞ্জ একটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় নাচ ও গান উপভোগ করেন। পরে শিশুদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় যোগ দেন তিনি।