নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের প্রথম কোভিভযোদ্ধা ডা: মো: মঈন উদ্দিন দেশ ও জাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার স্মৃতিকে ধরে রাখার যে কোন উদ্যোগের প্রতি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সমর্থন থাকবে।
করোনাযুদ্ধে ১ম শহীদ ডা: মঈন উদ্দিন ট্রাস্টের বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: জাকির হোসেন।
সোমবার (১ মে ২০২৩) ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ডা: মঈনের সহপাঠী ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: নুরুল হুদা নাঈম, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: জহির আহমদ, সহকারী অধ্যাপক ডা: আহমদ নাসিম হাসান লাভলু, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: তানভীর মোহিত, গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, ট্রাস্টের সদস্য ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ফজল মিয়া, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও সিলেট পিটিআই’র সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর খসরুজ্জামান।
ট্রাস্টের সদস্য কামরুল ইসলামের উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যথাক্রমে মুমিনুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, দুলন তরফদার, ফিরোজ আহমদ, বশির আহমদ, মোনায়েম খান, শামছুল ইসলাম ও মারফত আলী, ছাতক প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ, ডা: মঈন উদ্দিনের ভাতিজা ও ট্রাস্টের সদস্য জিয়াউল হক ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ডা: মঈন উদ্দিন ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। স্কুল, কলেজ এমনকি মেডিকেল কলেজ জীবনেও তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। শিক্ষাজীবনশেষে কর্মজীবনেও তার সাফল্য ছিল আশাতীত। ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি কলেজের ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি ও কোভিড প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। করোনার সময় লোকজন যখন ভয়ে ঘরের বাইরে বের হতো না, তখন একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে রোগীর সেবা দিতে গিয়েই তিনি মূলত করোনায় আক্রান্ত হন। এক পর্যায়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করে। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম কোভিড যোদ্ধা। তাঁর এ মৃত্যু দেশের মানুষকে দারুণভাবে নাড়া দেয়।
বক্তারা আরো বলেন, ডা: মঈন মৃত্যুবরণ করলেও তার স্মৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা আমাদের চালাতে হবে। বিশেষ করে ডা: মঈনের মৃত্যুর পর ওসমানী মেডিকেল কলেজে তাঁর নামে একটি কর্ণার স্থাপনের আশ্বাস দেয়া হলেও তা আজো বাস্তবায়িত হয়নি। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ডা: মঈন উদ্দিন মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় ছাতক উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী ট্যালেন্টপুল ও ২২ জন ছাত্র ছাত্রী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেছে। বৃত্তিপ্রাপ্তদের নগদ অর্থ ও সনদ বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি