নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ :
মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির প্রবল বর্ষণে সুনামগঞ্জের নদ-নদী ও হাওরের পানি হু হু করে বাড়ছে। প্রবল বৃষ্টি ও উজানের ঢলের পানিতে ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর ও ধর্মপাশার উপজেলার শত শত গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে আনোয়ারপুর ব্রিজ সংলগ্ন এবং সত্তিয়ারখলা একশো মিটার নামক স্থানটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকাযোগে মানুষকে জেলা সদরে যেতে দেখা গেছে। আনোয়ারপুরে ব্রিজে এবং সত্তিয়ারখলার ওপারে অসংখ্য মালবাহী ট্রাক, অটো ও পিকআপ আটকা পড়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী ‘বাগলী থেকে বারেকটিলা’ পর্যন্ত রাস্তাটির বেশ কয়েকটি স্থান পাহাড়ি ঢলে ভেঙে এবং ডুবে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার সোলেমানপুর বাজার সংলগ্ন পাটলাই নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ মিলিমিটার, ছাতকের সুরমা নদীতে ১৭ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ২৪ মিলিমিটার ও দিরাইয়ে সুরমা নদীর পানি ৩ মিলিমিটার ও যাদুকাটা নদীর পানি শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে ৪৪ মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় লাউড়েরগড় পয়েন্টে ১৪১ মিলিমিটার, ছাতকে ৩০ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ১৫০ মিলিমিটার, দিরাইয়ে ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃষ্টিপাতের ফলে যাদুকাটা, চলতি খাসিয়ামারা, চেলা, মনাই, সোমেশ্বরীসহ সব পাহাড়ি নদীর পানি বেড়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত বুধবার থেকে পাহাড়ি ছড়ার ঢলের পানি সীমান্তবর্তী তাহিরপুর, মধ্যনগর দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর দিয়ে নদ নদীতে প্রবেশ করছে।